মোঃ মুনাইম হোসেন,(জীবননগর) প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে জোরপূর্বক গৃহবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আহমেদের পুত্র আশিক(২৮) এর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, হাসাদাহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের এক সন্তানের জননী আশানারা খাতুন সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী। ২০ জানুয়ারি সোমবার দুপুর ২ ঘটিকার দিকে প্রতিদিনের মতো তাদের বাড়ির অদূরে কলাবাগানের মধ্যে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে যায়। পরবর্তীতে আশিক ওই কলাবাগানে কাজ করছিল এরপর গৃহবধূকে কিছু কথা বলবে বলে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর আশিক আশানারা খাতুনকে কু- প্রস্তাব দেয় আর এই প্রস্তাবে তিনি রাজি না হলে আকস্মিকভাবে তার বাম চোখের উপর এবং মাথায় কিল ঘুষি মারতে থাকে । এরপরও তিনি কু- প্রস্তাবে রাজি না হলে আশিক এর কাছে থাকা দেশীয় হাসুয়া দ্বারা তার গলার বাম পাশে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এরপর তার অবস্থা বেগতিক দেখে আশিক দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আর এ বিষয়ে গৃহবধুর ননদ সুমাইয়া খাতুন বলেন, দুপুরের দিকে আমরা বাড়িতে কাজ করছিলাম। তারপর দেখি আমার ভাবি জ্বালানি কাঠ আনতে দেরি করছে এরপর আমি আমার ভাবিকে খুঁজতে বের হই। তখন দেখি আমার ভাবী কলাবাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন আমার আত্মচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন চলে আসে এবং আমার ভাবীকে দ্রুত উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। আর এ বিষয়ে গৃহবধূর আশানারা খাতুন বলেন, আমি কলাবাগানে জ্বালানি কাঠ আনতে যাই। তখন দেখে আশিক ওই কলা বাগানে দাঁড়িয়ে আছে। এরপর সে আমাকে ডাকে এবং কুপ্রস্তাব দেয় তখন আমি রাজি না হলে সে এলোপাথরিভাবে আমার মুখে কিল ঘুষি মারতে থাকে তারপরও যখন আমি রাজি না হই তখন তার কাছে থাকা দেশীয় হাসুয়া দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার গলায় আঘাত করে আর এতে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আর এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সাদিয়া বলেন, দুপুর ৩:৩০ মিনিটের দিকে আশানারা খাতুনকে তার নিকট আত্মীয়-স্বজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা প্রাথমিকভাবে তার গলার বাম পাশে ক্ষত চিহ্ন দেখতে পাই এবং সাথে সাথে ব্যান্ডেজ করে রক্ত বন্ধ করি। এছাড়াও তার মুখের বাম পাশে এবং মাথায় প্রচন্ডভাবে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। পরবর্তীতে তার অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, দুপুর তিনটার দিকে মুঠোফোনে গৃহবধূর এক আত্মীয় আমাকে এই ঘটনার ব্যাপারে ফোন করে। এরপর সাথে সাথে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ প্রেরণ করি।প্রাথমিকভাবে আমরা তার গলায় ক্ষতচিহ্ন সহ মুখে এবং মাথায় প্রচন্ড আঘাতে চিহ্ন দেখতে পাই। এছাড়াও এ পর্যন্ত ঘটনার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply