মোঃ মুনাইম হোসেন, জীবননগর প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে তিতাস (২৩) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ফারুক হোসেন (৩৬) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের নারায়ণপুর মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত তিতাস পৌর শহরের মহানগর উত্তর পাড়ার ওসমানের ছেলে। শুক্রবার রাতে জাহিদ হাসান বাদী হয়ে ৫জনের নামে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ পাড়া মুনসুর আলী’র ছেলে ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয়।মামলার অন্য আসামীরা, পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ পাড়ার মৃত খোদা বক্স মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ (৩৬), নারায়ণ পুর মোড়ের ওসমান মিয়ার ছেলে শিশির মিয়া (৩২), মহানগর উত্তর পাড়ার ইন্না হোসেনের ছেলে শিলন হোসেন (৩২) ও আঃ সাত্তারের ছেলে মোহাম্মদ গোপাল।মামলার বাদী জাহিদ হাসান বলেন, কয়েকদিন যাবত লোকমুখে শুনছি ফারুক আমার এবং আমার সঙ্গী সজলকে মারার জন্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করছে। প্রথমে আমরা বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব না দিয়েই চলাফেরা করি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে তার দোকান বন্ধ করে আমাদের মারার জন্য উৎ পেতে আছে। তার দোকান বন্ধ এবং মানুষের কথা শুনে আমি এবং সজল একই মোটরসাইকেল চলাফেরা করলেও একদিন ধরে আমরা সাবধানতা জন্য আলাদা চলাফেরা করি।তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় সজলকে একবার পিছন থেকে ধাওয়া করে সে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে।পরবর্তীতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নারায়ণপুর মোড়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বাদীগণ সজলকে একা পেয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে পরে তাকে মাংস কোপানো ডাসা দিয়ে পিছন মাথায় আঘাত করতে যায় তখন তিতাস নামের এক ছেলে তাকে আটকাতে গেলে তার বাম হাতে কোপ লাগে পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে তার অবস্থায় আশংকাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তার ডাসার কোপে তিতাসের হাতের তিনটা শিরা কেটে যায়। তাকে অপারেশন করা হয়েছে, সে এখন যশোর হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন।জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত একজনকে ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
Leave a Reply