শহিদুল ইসলাম খোকন বিশেষ প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গত ১২ জানুয়ারী কাটাখালী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে আটক হয়, একটি স্কেভেটর,ড্রামট্রাম ও মোটরসাইকেল। ২৪ ঘন্টা আটক রেখে নিয়মিত মামলা ও ভ্রাম্রমান করার তালবাহানা করে মুছলেকা দিয়ে ছাড়াপেল অবৈধ বালু পরিবহনের দায়ে আটক হওয়া গাড়ী গুলো। উপজেলা প্রশাসন সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা যোগদানের পর থেকে গত তিন মাসে পরপর তিন বার ১৯ নভেম্বর,৬ জানুয়ারী এবং ১২ জানুয়ারী আটক হয় বালু ও মাটি বোঝাই ড্রামট্রাক। উপজেলা প্রশাসন বালু বাহী ড্রামট্রাক গুলো মোবাইল কোডের আওতায় না এনে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রতিনিয়ত ছেড়ে দেওয়ায় সচেতন মহলে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জানাযায়, বালু মামলার আসামী চাঁন মিয়া অনেক বছর থেকে কাটাখালী নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালুতুলে বিক্রি করে আসছিল। চাঁনমিয়ার বালুর স্পট থেকে আটক হয় মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা নামে বালু ও ড্রামট্রাক ব্যবসায়ীর ড্রামট্রাক ও স্কেভেটর। এসময় ড্রামট্রাক চালক আনোয়ারের মোটরসাইকেল আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়। প্রশাসনের বক্তব্যমতে ঐ স্পটের বালু ব্যবসার সাথে শহিদুল,মোজাফ্ফর, এরশাদ,হারুনের সম্প্রীক্ততা পান তারা। অদৃস্য শক্তি ও অনৈতিক সুবিধা আদায়ে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে মুছলেকা ব্যবসা করছেন বলে নেটিজেনদের মধ্য গুঞ্জন উঠেছে। এঘটনায়, কথিত সাংবাদিক ড্রামট্রাকের মামলা হবে না, স্যারকে ম্যানেজ করার কথা বলে উক্ত ড্রামট্রাক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে বিশ হাজার টাকা দাবী করে। জানাযায়, এক সাংবাদিক স্যারকে ম্যানেজ করে, অণ্যজন স্যারের সাথে থেকে বিষয়টি তদারকি করে। ফলে একই কারনে বার বার মামলা বা জরিমানা না করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলছেন সাধারন মানুষ। মুছলেকা নিয়ে জব্দকৃত গাড়ী ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, দির্ঘ পনের বছর ড্রামট্রাক মালিক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা ড্রামট্রাকের ব্যবসা করতে গোবিন্দগঞ্জ আসতে পারেনি। সে কারনে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এসময় আপনাদের উজ্জল সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তবে তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে নিয়মিত মামলা দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক চেীধুরী মোয়াজ্জম আহমত ড্রামট্রাক আটক করে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানান, এগুলো নিয়মিত মামলা অথবা মোবাইল কোর্টে জরিমানা করার বিধান রয়েছে। কিভাবে এগুলো বারবার ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
Leave a Reply