শহিদুল ইসলাম খোকন বিশেষ প্রতিনিধি: গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাধীন মৌজা বর্ধনকুঠি জে এল নং ২৪৫, অতুল চন্দ্রের নিকট থেকে এজাজুল ইসলাম এর স্ত্রী মোছাঃ রাশেদা বেগম দলিল মূলে পাঁচ শতক জমি ক্রয় করেন । যাহার সাবেক দাগ নং ১১০, হাল দাগ ৪৬৫ জমির পরিমাণ ১৮৯ শতক। রাশেদা বেগমের জমি যাহার বি আর এস খতিয়ান নং ৫ ৪২ । অতুলের নিকট থেকে সাবেক ১১০ দাগে ও হাল ৪৬৫ দাগে মোস্তফা শেখ ৩ শতক জমি ক্রয় করেন। হাত বদল হয়ে অতুল কর্তৃক বিক্রি কৃত মোট ৮ শতক জমি এজাজুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক, ও মোস্তফা শেখ পুনরায় ক্রয় করেন। যাহার খারিজ খতিয়ান নং ৯৭১, সাবেক দাগ নং ১১০, জমির পরিমাণ ০৮ শতক, হাল দাগ নং ৪৬৫ খারিজ খতিয়ান নং ১০৭১, জমির পরিমাণ ০৮ শতক বহাল রয়েছে উক্ত ৮ শতক জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এজাদুল ইসলাম এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই পক্ষের উকিল নিয়ে থানায় কাগজ পত্র দেখাদেখি হয়। উক্ত ০৮ শতক জমির মধ্য হইতে দলিল,রেকর্ড ও খারিজ খতিয়ান মুলে এজাদুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক ও মোস্তফা শেখ ৪ শতাংশ জমি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এর নিকট চার লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে রেজিস্ট্রি দলিল মূলে বিক্রি করেন। দলিল মূলে খারিজ খতিয়ান মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর দপ্তরে আবেদন দাখিল করে বিধি মোতাবেক খারিজ খতিয়ান নাম জারি হয়।যাহার খারিজ খতিয়ান নং ১০৮৪, জমির পরিমাণ ৪ শতক। উক্ত জমিতে অন্যায় অণু প্রবেশ সহ অলক গং উত্তেজনা সৃষ্টি করলে ও উক্ত জমি বেদখল করার জন্য চেষ্টা করলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এজাদুল ইসলাম বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, গাইবান্ধায় ১৪৪ / ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যাহার নং ৪৭৯/২০২৪ ইং। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক উক্ত জমিতে কোন প্রকার আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন না হয় সেজন্য গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে নির্দেশনা দেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাবেক এস আই মোশারফ হোসেন কে নির্দেশনা দেন এবং উভয় পক্ষ কে নোটিশ প্রদান করেন। জানা গেছে, উক্ত জ্যোতের জমি নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ আদালতে নং ১১১ / ২০১৯ মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিবাদী অলক গং উক্ত জমি গত সপ্তাহে জৈনক আজহার আলীর নিকট বিক্রি করে দিয়েছে বলে জমির নিকট রাস্তায় একটি সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। ১৫-১-২০২৫ ইং তারিখে উক্ত জমিতে অন্যায় ভাবে অনুপ্রবেশ করিয়া ইট আনা শুরু করলে এজাদুল ইসলাম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইয়া বাদী হয়ে উক্ত জমি নিয়া যাতে কোন প্রকার আইন-শৃংখলা বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সেজন্য গোবিন্দগঞ্জ থানায় আজহার আলী, অলক কুমার সহ ৬-৭ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিলে গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই আনিসুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার পর্যন্ত কাজ বন্ধের জন্য সকলের প্রতি বারণ করেন। অলক কুমার প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন পোস্ট দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতি সহ সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। অভিযোগকারী কে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করছেন।
Leave a Reply