
। রিজওয়ান নওগাঁ। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও আবৃতি প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় । গত মমঙ্গল মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান। প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বলেন, শিশুর মেধাবিকাশের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো চিত্রাঙ্কন। ভাষার বিকল্প হিসেবে এই চিত্রাঙ্কন ব্যবহৃত হয় যা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বোধ গম্য হওয়ার জন্য ছড়িয়ে পড়ে। যারা অংশ গ্রহন করে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন । পারিবারিক শিক্ষা ও সৃজনশীলতা না থাকলে কোন শিক্ষায় আসলে শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কথা না। উন্নত বিশ্বে কারিগরি শিক্ষার উপর অধিকতর গুরুত্বআরোপ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার বেহাল দশা। কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হলেও কারিগরি শিক্ষার গুরুত্বর বাড়াতে হবে। এর উত্তোরনের প্রয়োজন রয়েছে। উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাছানাত আলী বলেন, নওগাঁবাসী কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চায় সবার মতামত নিবো। এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিবো যা ছিল কল্পনাতীত। বাচ্চাদের মেধা বিকাশে খেলার মাঠ থাকবে। আলো বাতাস ভরপুর থাকবে। বাচ্চারা একদিন বড় হবে। তারা নিজেরা দায়িত্ব নিবে। তারা আগামীর দূর্নীতির মুলোৎপাটন করে করে নতুন বাংলাদেশ গড়বে। জুলাই গণভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলেই আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। এসময় নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাছানাত আলীর সভাপতিতে সাংবাদিক শেখ আনোয়ার, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রায়হান আলম ও সাধারণত সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাদ হোসেন মুরাদ ও জেলা রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ তারেকসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর চিত্রাঙ্গন ও আবৃতি প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিজয়ীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়।
Leave a Reply