। রিজওয়ান নওগাঁ। আমের রাজধানী হিসেবে প্রসিদ্ধ এবং ধান উৎপাদনের শ্রেষ্ট নওগাঁয় বর্তমানে চালের দাম সাধারণ জনগনের ক্রয় সীমার মধ্যে বিরাজ করছে। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া অবহেলিত গরীব মানুষ মোটামুটি খুশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম কমেছে ১-২ টাকা ও খুচরা বাজারেও কমতে শুরু করেছে ২-৩ টাকা প্রতি কেজিতে। কোয়ালিটি অনুযায়ী এই দাম কমেছে। অন্য দেশ থেকে সরকারের চাল আমদানি এবং স্থানীয় পারিজা জাতের চাল বাজারে আসার কারনেই এমনটি হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান। ধানের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও চালের দাম হঠাৎ করেই কমে যেতে শুরু করায় পাইকারি চাল ব্যবসায়ীদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে বলে জানা যায়। গত সোমবার(২২ সে সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে নওগাঁ শহরের আড়তদারপট্টির পাইকারি চালের বাজার দর ছিল কোয়ালিটি অনুযায়ী, প্রতি কেজি চালের দাম ১-২ টাকা কমে জিরাশাইল ৬৮-৭০টাকা, কাটারিভোগ ৭৫-৭৬, শুভলতা ৬৩-৬৪ টাকা, ব্রি আর-২৮ চাল ৫৫-৫৬ টাকা, স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫১-৫২ টাকা, মোয়াজ্জেম ও পারিজা জাতের চাল ৫০-৫১ টাকা দরে বিক্রি করছেন মিল মালিক ও আড়তদাররা ব্যবসায়ীরা। এক সপ্তাহ আগে এই মোকামেই কোয়ালিটি ভেদে প্রতি কেজি জিরাশাইল ৭০-৭২ টাকা, কাটারিভোগ ৭৭-৭৮ টাকা, শুভলতা ৬৫-৬৬ টাকা, ব্রি আর-২৮ জাতের চাল ৫৭-৫৮ টাকা, স্বর্ণা-৫ চাল ৫৩-৫৪ টাকা, মোয়াজ্জেম এবং পারিজা জাতের চাল ৫২-৫৩ টাকা করে বিক্রি হয়েছিল। অপরদিকে নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চালবাজারে ও সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে কোয়ালিটি ভেদে প্রতি কেজিতে ২-৩ টাকা কমে জিরাশাইল ৭০-৭২ টাকা, কাটারিভোগ ৭৫-৭৭ টাকা, শুভলতা ৬৪-৬৫ টাকা, ব্রি আর-২৮ চাল ৬২-৬৪ টাকা এবং স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫৬-৫৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহে আগে এই বাজারে প্রতি কেজি জিরাশাইল ৭৯-৮০ টাকা, কাটারিভোগ ৭৮-৭৯ টাকা, শুভলতা ৬৬-৬৮ টাকা, ব্রি আর-২৮ চাল ৬৩-৬৫ টাকা এবং স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫৬-৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সাধারন খেটেখাওয়া মানুষ খুব একটা বেশী খুশি না হলে ও একটু স্বস্তি বোধ করছে বলে জানা যায়। তবে দাম আরো একটু কমলে খুব ভালো হতো বলে বেশ কয়েকজন চাল কিনতে আসা খরিদ্দার বলেন।
Leave a Reply