ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
কোটচাঁদপুরে নাশকতার অভিযোগে এক সাংবাদিক সহ ১৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে পুলিশ । মঙ্গলবার (২৩-০৭-২৪) এ মামলা করা হয়। ওই মামলায় ৮ জনকে আটক করেছেন থানা পুলিশ।
জানা যায়,নাশকতার অভিযোগে কোটচাঁদপুরে এক সাংবাদিক সহ ১৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাত
আরো ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নাম্বার -১২,তারিখ -২৩-০৭-২৪। কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বাদী হয়ে ককটেল ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার দেখিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
গেল তিন দিনে ওই মামলায় ৮ জনকে আটক করেছেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ।
যার মধ্যে, বলাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আওয়াল,আর্দশ পাড়ার বাবলুর রহমান কে আটক করে মামলা টি রুজু করা হয়।
এদিকে নাশকতা মামলায়ও ১৯ নাম্বার আসামি করা হয়েছে কোটচাঁদপুর রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বীর জনতা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ বাশার কে। তাকে এ নাশকতা মামলায় জড়ানোয় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কোটচাঁদপুরে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা। এর মধ্যে রয়েছে, প্রেস ক্লাব কোটচাঁদপুরের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক কাজী এনাম আহাম্মদ মৃদুল,কোটচাঁদপুর রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি অশোক দে,সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার,কোটচাঁদপুর রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ জামান,সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী।
এ ছাড়াও রয়েছেন সাংবাদিক আলমগীর খান,মঈন উদ্দিন খান,রেজাউল করিম,মোস্তাফিজুর রহমান,জাহাঙ্গীর আলম,শহিদুল ইসলাম,রোকুনুজ্জামান,শওকত আলী।
সাংবাদিক নেতারা অবিলম্বে গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ বাশারকে ওই মামলা থেকে প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের নিকট।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ বাশার বলেন, আমি রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকি না। সাম্প্রতিক সময়ে কোটচাঁদপুর নবনির্মিত উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের এস এস পাইপের কাজে অনিয়ম। মডেল থানার সাবেক এক এএসআই এর বিরুদ্ধে মাদক সহ আসামি ধরে অর্থ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া। মাদক বিরোধী সেমিনারে মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য নেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয় সংবাদ প্রকাশ করার কারণে আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। বর্তমানে আমি সাংবাদিকতা আর কৃষি কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করি। যে মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে সেই মামলার আটক কৃত আসামিদের তথ্য নিতে ওই দিন সকালে আমি থানা তেই অবস্থা করছিলাম। আর সন্ধ্যায় মুঠোফোনে আমাকে এক সাংবাদিক জানান আমার নামে মামলা হয়েছে। এ ধরনের মামলা হওয়ায় আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমি ওই মামলা থেকে আমার নাম প্রত্যাহার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ সৈয়দ আল- মামুন বলেন,নাশকতার অভিযোগে ১৯ কে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি আছে আরো ১৫-২০ জন। মামলায় এ পর্যন্ত জনকে আটক করা হয়েছে।
গণমাধ্যম কর্মীর নামে মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,এ মামলার জন্য ৫ সদস্যের কমিটি আছে। তারা মামলাটি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ ছাড়া ওই সময় আমি মামলায় যে গণমাধ্যম কর্মীর নাম আছে আমি বুঝতে পারি নাই। আমি জানতাম ওনার নাম বাশার খন্দকার। খন্দকার আব্দুল্লাহ বাশার তা জানা ছিলো না। এটা ভূল বশত হয়ে গেছে।
Leave a Reply