মোঃ মুনাইম ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরেই দীর্ঘ ১৫ বছর পরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিশাল বিজয় মিছিল ও সমাবেশ করেছে। দেখা যায়নি কোনো দলের আপত্তি বা প্রশাসনের বাধা। গতকাল বুধবার বিকালে পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা একত্রিত হতে জনসমুদ্র পরিনত করেন। এরপর বিজয় মিছিল বের করা হয়। বিজয় মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতাকর্মীদের হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সবাই ছিল আনন্দিত। পরে বাসস্টান্ড সংলগ্ন মুক্ত মঞ্চে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।জীবননগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির মাওলানা সাজুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জীবননগর উপজেলা সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ও হাসানুজ্জামান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামী আমির রুহুল আমিন। দেশে নেতৃত্ব প্রদানকারী ছাত্র জনতাকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি তার বক্তব্য বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার কবল থেকে দেশ রক্ষা হয়েছে, তাই ১৫ বছর পর আমরা আবারো এই স্থানে সমাবেশ করতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমান দেশে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান। এখন দেশ গড়ার কাজ শুরু করতে হবে। অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতকারীরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসীর প্রতি আমরা বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছি কোনো দুষ্কৃতিকারী যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।জীবননগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জেলা নায়েবে আমির ও সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট আসাদুজ্জামান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, জেলা কর্ম পরিষদ মাওলানা হাফিজুর রহমান, সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, জেলা জামায়াত নেতা মাওলানা ইসরাইল হোসেন, ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি এমদাদ হোসেন। পৌর আমীর হাফেজ ফিরোজ হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply