এস এম আব্দুর রাজ্জাক রাজন
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের কপোতাক্ষ নদ খনন কাজ চলমান। এক বছর আগে নদী খননের পর দুই ধারে সবুজ বেষ্টুনি গড়ে তোলার জন্য বৃক্ষরোপণ করা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে সেসব গাছের চারাগুলো কোন চিহ্ন নেই; নদের দুই ধারে এখন শুরু গোচারণ ভূমি।এলাকাবাসী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে প্রকাশ, গত ২০২১-২২ অর্থ বছরে কপোতাক্ষ খননের কার্যক্রম শুরু হয়। জানা গেছে, কোটচাদপুর, জীবননগর ও মহেশপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদ ১৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে খনন করা হচ্ছে। প্রথম বছর মহেশপুরের ভালাইপুর-মহেশপুর প্রায় দুই কিলোমিটার খননের কাজ শেষ করে বাদল নামে এক ঠিকাদার। ওই বছরই নদের দুই ধারে সবুজ বেষ্টুনি গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন জাতের বৃক্ষরোপণ করা হয়। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নদের দুই ধারে লাগানো গাছের চারা গুলোর কোন অস্তিÍত্ব নেই। ওই স্থানে বর্তমানে এলাকার মানুষ গরু-ছাগল চরায়।এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাফুর দৌলার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে সাব-কন্টাক্ট নিয়ে তাজওয়ার্ড ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান নদ খননের কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন নদীর প্রস্থ ১৩০-১৪০ ফুট চওড়া হবে এবং নদের গভীরতা হবে ৩ থেকে ৭ ফুট। এছাড়াও নদের দুই ধারের জমিতে সবুজ বেষ্টুনি গড়ার লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ করা হবে। গাছের চারা গুলোকে ৩ বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এবং বৃক্ষরোপণের ৬ মাস পর গাছগুলোকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট বুঝিয়ে দিবেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও খনন কাজ শেষ হওয়া স্থানে লাগানো চারা গুরো পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বুঝিয়ে দেইনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারীর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অফিস:২৮৬/c,লতিফ টাওয়ার(৫ম তলা)বড় মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭/সম্পাদকীয় ও বার্তা কার্যালয়:১৭নং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ঠাকুরগাঁও সদর/ Email:agamirdarpon@gmail.com, agamirdarpon.news@gmail.com
© All rights reserved © 2019 agamirdarpon.com