পৃথিবীর সব থেকে মধুর ডাক হলো ‘মা’। আর এই মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় ‘মা দিবস’। পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম দরদ।তাই রাত পোহানোর আগেই বিশেষ এই দিনটিকে রঙিন করে তুলতে পারেন প্রিয় এই মানুষটির জন্য।সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমগুলোয় মা নিয়ে সন্তানদের অনুভূতি প্রকাশ করে ছবি ও নানা লেখায় ফুটে ওঠে মায়ের প্রতি সন্তানদের ভালোবাসা ও আবেগের প্রকাশ। অনেকে মা কে পছন্দের উপহারও দিয়ে থাকেন।১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে দিবসটি পালন শুরু হয়।বিশেষ দিনটি বিশ্বজুড়ে মাতৃত্ব ও মাতৃসত্তার গুরুত্ব এবং তাৎপর্য স্মরণ করিয়ে দেয়।প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবসের পালন করা হলেও আধুনিককালে এর প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর দিবসটি পালনে বাংলাদেশে বিশেষ কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। তবে এবার নানা আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে মা দিবস।বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্টে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মায়েদের জন্য উত্সর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।
অফিস:২৮৬/c,লতিফ টাওয়ার(৫ম তলা)বড় মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭/সম্পাদকীয় ও বার্তা কার্যালয়:১৭নং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ঠাকুরগাঁও সদর/ Email:agamirdarpon@gmail.com, agamirdarpon.news@gmail.com
© All rights reserved © 2019 agamirdarpon.com