আজিজুর রহমান,কেশবপুর(যশোর): কেশবপুরে অচেনা এক ভাইরাসের ব্যবসার হিড়িক পড়ে গেছে। আর এই অচেনা এক ভাইরাসের যোগান দিতে উজাড় হচ্ছে বন ও সড়কের বনজ বৃক্ষ। কেশবপুর উপজেলার পল্লী এলাকার বন বাগানে ও সড়ক মহাসড়কের ধারে রেন্টি/শিশু গাছে এক অচেনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গাছের ডাল পালা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। প্রথমে এলাকার মানুষ গাছের ঐ মরা ডালপালা কেটে নিয়ে জ্বালানি হিসাবে বাড়িতে নিচ্ছেল। ঐ গাছের ডালে ছিলো এক অচেনা ভাইরাস। এখন সেই অচেনা ভাইরাসের বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। এলাকার শতশত মানুষ ঐ ভাইরাসের কেনা-বেচা করে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে উপজেলার সুফলাকাটী ইউনিয়নের কাটাখালি বাজার, সুফলাকাটী, নারায়নপুর ভেরচীসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে আলাপ হলো একাধিক ঐ অচেনা ভাইরাসের ব্যবসায়ীদের সাথে। নারায়নপুর বাজারের ব্যবসায়ী আড়ুয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন,এই ভাইরাসকে আমি চিনিনা। এমনকি কি কাজে এইটা ব্যবহার করা হয় তাও জানিনা। তবে বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বাড়ছে ও এর বাজার মূল্যও অনেক বেশি। এর নাম কি এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন,ব্যবসায়ীরা এর নাম বলছেন ‘লাহা’। আরএক কেজি লাহা তাদের নিকট থেকে ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তার আড়তে প্রতিদিন ২৫/৩০ মন বেচা-কেনা হয়ে থাকে। কলাগাছি বাজারের এই লাহা নামের ভাইরাসের ব্যাসায়ী আড়ুয়া গ্রামের সাইফুল্লাহ বলেন,আমরা এর নাম ‘লাখা’ বলে জানি। তবে আমরা এইটাকে ভালো ভাবে চিনিনা। এলাকার অনেককে দেখে তিনিও এই ব্যবসা করছেন। তবে এর ব্যবসা করে তিনি খুব লাভবাব হয়েছেন। এ-সময় আলাপ হলো তিন জন পাইকারি ব্যবসায়ীর সাথে তারা হলো সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কপিলমনি বাজারের মফিজুর রহমান, তালা উপজেলা শহরের সবুর শেখের সাথে তারা বলেন, এর নাম সঠিক বলতে পারিনা তবে ভারতে এর চাহিদা বেশি। তাদের নিকট থেকে কলারোয়া,বেনাপোল, রাজশাহী, কানশার্ট এলাকার ব্যবসায়ীরা পাইকারি হিসাবে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহে ৩/৪ ট্রাক মাল তারা বিক্রি করে থাকেন বলে জানান। আর এই ব্যবসা করে অল্পদিনে অনেক পুজি হয়েছে ও জমি কিনেছে। কেশবপুরে এই অচেনা ভাইরাসের ব্যাপক চাহিদার কারনে দিনমজুরা বাগান সড়ক মহাসড়কের রেন্টিগাছ,শিশু গাছের ডাল পালা কেটে উজড় করে ফেলছে। এগুলো দেখার কেউ নেই।
Leave a Reply