। রিজওয়ান নওগাঁ। নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রক ও সাংবাদিক সাজুর ওপর হামলার প্রধান আসামি “কনক”–কে এখনও পুলিশ আটক করতে পারে নাই। গত ১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার মূল হিরো কনকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে প্রধান আসামি কনক প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাকে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে জনমনে। ডিবিসির নওগাঁ প্রতিনিধি একে সাজু অভিযোগ করেন, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রক কনক ও তার বাহিনী তাকে মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সাজুর দাবি, পুলিশ কনককে আটক করতে কোন রকম তৎপরতা দেখাচ্ছে না। এটি তাদের ইচ্ছাকৃত বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নওগাঁ জেলা সম্মিলিত সাংবাদিক ঐক্য জোট গত রবিবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসী কনককে গ্রেপ্তার না করলে সমগ্র জেলায় কঠোর আন্দোলনে নামতে সাংবাদিক সমাজ অঙ্গীকারাবদ্ধ। একই সঙ্গে সামাজিক মিডিয়ায় কনকের ছবি ছড়িয়ে এবং তাকে চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারলে নগদ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঐক্য জোটের সভাপতি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার সাদেকুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিকের ওপর হামলা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। কনককে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে, নইলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।” এবিষয়ে ঐদিন সকালে নওগাঁ মহাদেবপুর থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন দু জন আসামী ধরা পড়েছে। পরে প্রধান আসামি কনক সারোয়ারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অচিরেই আমরা আসামী ধরতে পারবো বলে আশা করছি এবং করে যাচ্ছি। তবে আগামি কাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) কোটে আত্মসমর্পণ করতে পারে প্রধান আসামি ” কনক ” — এই মর্মে গোপন খবর ও আছে বলে জানা যাচ্ছে। সবার দাবি একটাই, সঠিক বিচার যেন পায় ” সাংবাদিক একে সাজু “। সাংবাদিক সমাজের দর্পন,সেই সাংবাদিক ই যদি হামলা, মামলা, ও গলাকাটার শিকারে পরিণত হয় তবে, সেই সমাজের প্রতিচ্ছবি ই তো অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়। সুতরাং সন্ত্রাসী কনক কে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হউক।
Leave a Reply