স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া এর দিকনির্দেশনায় ও ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম এর নির্দেশে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শিবিরুল ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে কোতোয়ালি থানা পুলিশ নতুন উদ্যামে কাজ করে যাচ্ছেন। ওসি শিবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে দক্ষ পুলিশ অফিসারদের নিয়ে সদরের প্রায় ১১ লাক্ষাধিক মানুষের অনবরত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ওসির তত্বাবধানে ও নিপুণ মেধায় সদরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন এবং জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকায় স্বল্প পুলিশ সদসদের নিয়ে প্রায় ১১ লক্ষাধিক মানুষের জান-মালের নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ও সেবা দেয়া সহজ কথা নয়! কিন্তু মেধা সম্পন্ন ইন্সপেক্টর শিবিরুল ইসলামের অক্লান্ত চেষ্টায় সদরের আইনশৃঙ্খলা ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। তিনি যে কোন ঘটনা সনাক্তকরণ ও অপরাধ নির্মূলে কারিশমা দেখিয়ে যাচ্ছেন।
ওসি শিবিরুল ইসলাম নিঃসন্দেহে একজন ভাল পুলিশ অফিসার। তিনি সদরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে দক্ষ পুলিশ অফিসারদের নিয়ে কয়েকটি আভিযানিক টিম গঠন করেছেন। চৌকস আভিযানিক টিম সদরসহ ৩টি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় ২৪ ঘন্টা দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সফলতা বয়ে এনে সদরের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে যাচ্ছেন। যার কৃতিত্বের দাবিদার ওসি শিবিরুল ইসলাম।
অন্যদিকে, “টিটুর রসনা বিলাসে মজে” থাকা সাংবাদিকরা ওসির কাল হলো নিজ স্বার্থে! তারা বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র টিটুর কার্যসিদ্ধি লাভের জন্য বছরের পর বছর সেবা দিয়ে পেট ভারি করেছেন। অপসাংবাদিকতাও কম করেননি। কেউ কেউ সাবেক মেয়রের বাসা আকড়িয়ে রেখেছেন। আবার কেউ কেউ সাবেক মেয়র টিটুর নির্বাচনে মিডিয়া পার্টনারও ছিলেন। টিটু “লাল কে লাল” সাংবাদিকদের জন্য হায়েজ গাড়িসহ প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন। এরা বিগতদিনে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে বাঁচার জন্য সাংবাদিক পেশায় ঢুকে পড়ে। কেউ আবার পতিতা পল্লীর সর্দানীর ভেরুয়া। এদের ৭/৮ জন সাংবাদিক নিত্যদিন পতিতা পল্লীতে নিয়মিত যাতায়াত করে। সাপ্লাই করেন ফেন্সিডিলসহ মাদক। তাদের কারো নামে রয়েছে মাদক ও চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলা। বিগত ১৬ বছর এরা ফ্যাসিষ্টের হয়ে জনগণের উপর নানাবিধ অত্যাচার করে বিপুল অর্থের মালিক বনেছেন। আজ তারা ডেভিল ধরে না বলে বুলি উড়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাপা মারে! কিন্তু ওসি শিবিরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী আইন প্রয়োগ করে আজ পর্যন্ত প্রচুর ডেভিল ধরেছেন। ডেভিল ধরার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন।
আরেক মদনা গ্রাম থেকে এসে ময়মনসিংহ সদরে আশ্রয় নেয়। মামলা খেয়ে জেল খেটে বাহির হয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলায় চলে যায়। সেখানকার সাবেক আওয়ামী লীগের মেয়র এর সাথে দিনের পর দিন দলীয় মিটিং করে এবং মেয়রকে গোল ফিটিং দিয়ে একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদকের সাথে চুক্তি করে পত্রিকা বাগিয়ে নিয়েছেন। সেই মদনা এখন, পুলিশ কর্মকর্তাদের ডেভিল বানানোর জন্য একের পর এক মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে সকলকে বিভ্রান্তিতে ফেলেছেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, ওই পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং বর্তমানে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক মন্ডলীতে আছেন। যা প্রমাণসহ আছে। তার “পত্রিকার মালিকই ডেভিল” আর ওই মদনা, পুলিশ কর্মকর্তাদের ডেভিল বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মদনা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত এবং সাথে রেখেছেন কক্সবাজারের এক ইয়াবা ব্যবসায়ী। এত অপরাধ প্রবণতা থাকার পরেও “ওসির উপর কাল হলো অপরাধী সাংবাদিকরা” অকাল ছাগলে চাটে!
ইন্সপেক্টর শিবিরুল ইসলাম গত ৪ মাস আগে কোতোয়ালি মডেল থানায় ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব নেন। তিনি যোগদানের পর দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে ৫৬০ জন বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, নিয়মিত মামলার আসামি, সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রয়েছে।
এছাড়া পেশাদার সশস্ত্র ডাকাতের মতো মারাত্মক অপরাধের ঘটনার সাথে জড়িত অসংখ্য সঙ্গবদ্ধ অপরাধী চক্রকে সাহসিকতার সাথে গ্রেফতার করে ওসি শিবিরুল ইসলাম ময়মনসিংহ সদরে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। মাদক ও অপরাধ বিরোধী অভিযানের সফলতায় সদরবাসীর মানুষের মাঝে সস্থি ফিরে এসেছে। তিনি মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করে নিয়েছেন।
Leave a Reply