শান্তি আক্তার নওগাঁ সংবাদদাতা:
নওগাঁর আত্রাই শলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক শাহিদুল ইসলাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,,শলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. তুহিন শ্রেণিকক্ষে তার ছেলেসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অকারণে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ সেপ্টেম্বর গণিত বিষয়ে খাতায় কম নম্বর পাওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়।
এ বিষয়ে ঐ স্কুলের ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ফিরোজা খানম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি পুরোপুরি সত্য।
আমি জানতে পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি নিজেই আমাকে জানিয়েছেন, গণিতের খাতায় নাম্বার কম পাওয়ায় ঐ সকল শিক্ষার্থীদেরকে তিনি মেরেছেন।
এছাড়াও অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক বিধি বহির্বিতভাবে তার বাড়িতে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেনকে প্রাইভেট পড়ান যা বিধি মোতাবেক অবৈধ। এ বিষয়ে আমি শীঘ্রই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর রিপোর্ট প্রতিবেদন দাখিল করব।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক তুহিন রহমান রনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কোনো শিক্ষার্থীকে মারধর করিনি। বিষয়টি ভিত্তিহীন।” আর প্রাইভেট আমি পড়াইনা।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাযহারুল ইসলাম আগামীর দর্পণকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের জন্য উক্ত ক্লাস্টারের এটিও কে দায়িত্ব দিয়েছি।
তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply