রিজওয়ান নওগাঁ। নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুরে এক কিশোরী স্কুলে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। মমতা নামের এই কিশোরী পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার৷ বয়স সবে ১১ বছর। পরিশেষে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার বাড়ির পাশের একটি ডোবা বা জলাশয় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এটিকে একটি হত্যা কান্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ। নিহত মমতা উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের তল্লা গ্রামের মিনহাজুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, , গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় মমতা। এরপর আর সে বাড়ি ফিরে আসে নি। সব জায়গায় ও আশপাশের পুকুর-ডোবায় কয়েক দফা তল্লাশি চালায় তার পরিবারের লোকজন। সে সময় তাকে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীরা পচাদূর্গন্ধ পায়। এবং এই দুর্গন্ধের সূত্র ধরেই পাশের ডোবাতে তারা মমতার পা দেখতে পায়। তাৎক্ষণিকভাবে তারা থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মিনহাজুল বলেন, গত বুধবার সে স্কুলে জুতা ফেলে এসেছিল। পরদিন সকালে সেই জুতা নিতে স্কুলে যায়। পরে পাশের ফুফুর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বের হয়। তারপর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে আজ তার মরদেহ পাওয়া গেল। নিয়ামতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যা হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি ও চলছে বলে জানা যায়।
Leave a Reply