মোঃনাসির উদ্দিন (জুয়েল) |বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের প্রতি কিছু ব্যক্তির অশালীন ও কটূ মন্তব্য বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মর্যাদার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাব দুমকির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে, তা শুধু একজন ব্যক্তির নয়— পুরো সাংবাদিক সমাজের প্রতি এক ধরনের অবমাননার ইঙ্গিত বহন করে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণ্য হয়। গণতান্ত্রিক চর্চা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু বর্তমানে একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই পেশার মানুষদের হেয়প্রতিপন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে—যা একটি উদ্বেগজনক সামাজিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন, একজন নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দুমকিসহ আশপাশের অঞ্চলে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছেন। তাঁর সাহসী সাংবাদিকতা ও পেশাদারিত্বের জন্য ইতোমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। অথচ সম্প্রতি একটি বিষয় নিয়ে তাঁকে উদ্দেশ্য করে যেসব মন্তব্য ও কটূক্তি করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং সাংবাদিক সমাজের প্রতি স্পষ্ট অপমান।
এ বিষয়ে দুমকি প্রেস ক্লাব, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী, এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করেন, স্বাধীন মত প্রকাশ ও তথ্যভিত্তিক রিপোর্টকে হুমকি দিয়ে দমন করার চেষ্টা একটি ফ্যাসিবাদী প্রবণতার বহিঃপ্রকাশ, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, “সাংবাদিকদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা এ ধরণের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
জনগণের পক্ষে কথা বলা ও সত্য প্রকাশের দায় থেকেই সাংবাদিকেরা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোনো রাষ্ট্রেই গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত হতে পারে না।
এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। সাংবাদিকদের সম্মান করা মানে গণতন্ত্রকে সম্মান করা। আর গণতন্ত্র রক্ষা সবারই দায়িত্ব।
Leave a Reply