লিপি খাতুন কেশবপুর: কেশবপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আব্দুল কুদ্দুস (৫০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী আরও ৩ ব্যক্তি মারাত্মক আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে যশোর-চুকনগর সড়কের উপজেলার আলতাপোল এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। কেশবপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় কৃষক নিহত, আহত ৩ আহতরা হলেন- যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পুরুন্দপুর গ্রামের জামাল হোসেন (৪৫), আব্দুল আলিম (৫০) ও রবিউল ইসলাম (৪৫)। নিহত কৃষক আব্দুল কুদ্দুস উপজেলার আলতাপোল গ্রামের মৃত খেজের মুন্সির ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আলতাপোল এলাকায় চুকনগর দিক থেকে আসা দ্রæতগতির মাইক্রোবাস একটি মোটরসাইকেলের পিছনে ধাক্কা দিলে আরোহী ৩ ব্যক্তি সড়কের উপর ছিটকে পড়ে। মাইক্রোবাস চালক গাড়ি নিয়ে পালানোর সময় সামনে থাকা বাইসাইকেল আরোহী কৃষক আব্দুল কুদ্দুসকেও ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের উপর পড়ে রক্তাক্ত জখম হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত ৪ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। মোটরসাইকেল আরোহী আহত রবিউল ইসলাম বলেন, খুলনা জেলার কয়রা থানা এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে চুকনগর-যশোর সড়ক দিয়ে বাড়ি (ঝিকরগাছায়) ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কেশবপুরের আলতাপোলে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে তারা আহত হন। বর্তমানে মোটরসাইকেল চালক আব্দুল আলিম খুলনায় ও আরোহী জামাল হোসেন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় সোমবার রাতে ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর ভেতর ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছিল। তাদের ভেতর আব্দুল কুদ্দুস মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন। কেশবপুর পৌরসভার কাউন্সিলর বি এম শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, কৃষক আব্দুল কুদ্দুস রাতে বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে কেশবপুর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার সময়ই মাইক্রোবাস চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি।’
Leave a Reply