আজিজুর রহমান,জেলা(যশোর)প্রতিনিধি: কেশবপুরে সুবিধা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির এক কর্মীর বিরুদ্ধে শত শত সদস্যের সঞ্চয়ের ৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদস্যরা এখন তাদের জমা টাকা ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এঘটনায় ২৭ আগস্ট রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সদস্যরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসে দেওয়া অভিযোগ ও সরেজমিন জানা গেছে, কেশবপুরে স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠা সুবিধা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির আদায় কর্মী কেশবপুর উপজেলার ১০নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের মৃত শরিফুল মোড়লের স্ত্রী বর্তমান বেগমপুর আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা শিউলি বেগম কেশবপুর পৌর এলাকার হাবাসপোল মধ্যকুল, ভোগতী নরেন্দ্রপুর, সদর ইউনিয়নের নতুন মূলগ্রাম, দোমুঠিয়া সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কড়িয়াখালী, বেগমপুর, কোমরপোল, সাতবাড়িয়া, ভালুকঘর ও সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নের কাস্তা বারুইহাটিসহ বিভিন্ন গ্রামের শত শত সদস্যের সাপ্তাহিক সঞ্চয় বাবদ জমা নেওয়া প্রায় ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ।তিনি সুবিধা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির পক্ষে সমিতির সদস্যদেরকে কিস্তিতে সংসারের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ফার্নিচার কিনে দেওয়ার কথা বলে তাদের নিকট থেকে সঞ্চয়ের টাকা জমা নিয়েছেন। আর এখন তিনি সদস্যদের সাপ্তাহিক সঞ্চয় বাবদ জমা নেওয়া প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে বলে সদস্যরা জানান। সদস্যরা এখন তাদের জমা টাকা ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। হাবাসপোল গ্রামের একাধিক সদস্য জানান দীর্ঘদিন সমিতির নামে সঞ্চয় টাকা জমা দিয়ে আসছি। আমাদের টাকা জমা নিয়ে এখন তারা আর টাকা জমা নিতে আসেনা। এব্যাপারে সুবিধা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির আদায়কারী কর্মী শিউলি বেগমের সাথে তার মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমি সমিতির নামে আদায় করা সকল টাকা সমিতির অফিসে জমা দিয়েছি। আমি কারোর টাকা নিয়ে উধাও হয়নি। তবে সমিতির অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক সদস্য তাদের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য আমার বাড়িতে আসছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান,অভিযোগ পেয়েছি,তদন্তের জন্য উপজেলা সমবায় সমিতির কর্মকর্তা কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply