লিপি খাতুন,কেশবপুর: কেশবপুরে বেড়েছে কাচাঁ সবজি সহ মাছ,মাংস,ডিম ও মসলার দাম। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৭/৮ টাকা বেড়েছে। এসব পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন,সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সবজির দাম। শুক্রবার ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে কেশবপুর পুরানত গরুহাটের বৈকালি বাজার ঘুরে দেখা যায়,কাঁচা মরিচ ও সবজির পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা,বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা,উচ্ছে ৮০ টাকা,ওল ৬০ টাকা,পটোল ৪০ টাকা,ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা,কাঁচকলা ৪০ টাকা,টমেটো ৯০ টাকা,কচুর মুখী ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা,মুলা ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০,ফুলকপি১০০টাকা, শসা ৪০ টাকা,কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা,আমড়া ৩০ টাকা,পোল্লা ২০ টাকা,ঝিঙ্গা ৪০ টাকা,পোয়াজ ৮০ টাকা,আলু ৪৫ টাকা,রসুন ২২০ টাকা,শুকনা ঝাল ৫০০ টাকা,পেঁপে ২৫ টাকা,টাটা ২০ টাকা,লাউ ১৫ টাকা,লাল শাক ৩০ টাকা,বরবটি ৫০ টাকা,খুশি ৩০ টাকা,পোশাক ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।এসব সবজির পাশাপাশি বেড়েছে মাছ,মাংস,ডিম আলু ও মসলার দাম। বাজারে কথা হয় কার্তিকর সঙ্গে। তিনি বলেন,বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ হওয়ায় কিছু টা দাম কমলেও বেড়েছে সবজির দাম। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো জিনিসপত্রের দাম বাড়ালেও তা দেখার কেউ নেই। বাজার করতে আসা মোটরসাইকেল চালক বুকুল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন,সামান্য কিছু হলে অজুহাত দেখিয়ে সব জিনিসের দাম বাড়ানো হয়। কদিন আগে যে দামে কিনেছি, এর চেয়ে দাম অনেক বাড়ার কারণে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ, বাজার করার জন্য হিসাব করে টাকা নিয়ে আসি, ব্যয় বাড়লেও আমাদের আয় বাড়েনি। উপজেলার ব্রক্ষকাটি গ্রামের বাসিন্দা শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য সংসার চালানো কষ্ট হচ্ছে। যা আয়-রোজগার করি, তাতে কিনে খেয়ে বাঁচা দায়।’ সবজি ব্যবসায়ী নিবাস দাস,সাকিব হোসেন,আব্দুস সাত্তার জানান,কাঁচা সবজির সরবরাহ কম।তাই দাম বেড়েছে। আগামী আর কদিন পর এসব সবজির সরবরাহ বাড়বে তখন দাম কমবে।
Leave a Reply