আজিজুর রহমান,কেশবপুর(যশোর): কেশবপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১ জন শিক্ষকসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জন ছাত্রকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহত শিক্ষক আক্তারুজ্জামান মধুসহ ৭ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এ হামলার ঘটনায় চিংড়া ধর্মপুর দারুসছুন্না আলিম মাদ্রাসার পক্ষ থেকে চিংড়া পুলিশ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে গোবিন্দপুর এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে চিংড়া ধর্মপুর দারুসছুন্না আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় গোবিন্দপুর এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২-০ গোলে চিংড়া ধর্মপুর দারুসছুন্না আলিম মাদ্রাসাকে পরাজিত করে। মাদ্রাসার ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,তারা ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে পরাজিত করলে কথাকাটি শুরু হয়। চিংড়া ধর্মপুর দারুসছুন্না আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান,খেলা শেষে আমার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরছিলো। ইতিমধ্যে রাস্তার মাঝে আসার পরে গোবিন্দপুর এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ ভাবে এসে কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই মাদ্রাসার ছাত্রদের উপরে হামলা করে। এসময়ে ছাত্রদের সাথে থাকা মাদ্রাসার শিক্ষক আক্তারুজ্জামান মধু তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে তাঁর উপর হামলা করে আহত করসহ মাদ্রাসার ৩ জন ছাত্রের উপর হামলা করে।তাদের হামলায় শিক্ষকসহ ৪ জন আহত হন। আহতরা হলেন, চিংড়া ধর্মপুর দারুসছুন্না আলিম মাদ্রাসার ছাত্র ধর্মপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাসান (১৬), বিষ্ণুপুর গ্রামের মুহিদুল ইসলামের ছেলে মাহফুজুর রহমান (১৪) গোবিন্দপুর এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র চিংড়া গ্রামের আসাদুল্লাহর ছেলে শান্ত(নয়ন)১৭), আকাশ(১৫),সোহেল(১৭),রানা(১৬),শাহরুখ(১৫),সোলেমান (১৭) ইমরান(১৪) শামীম(১৫) আহত হন। হামলার ঘটনায় চিংড়া ধর্মপুর দারুসছুন্না আলিম মাদ্রাসার পক্ষ থেকে চিংড়া পুলিশ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জানান।
Leave a Reply