বদরুল আমীন, ময়মরসিংহঃ মুক্তাগাছার চঞ্চল্যকর আসাদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী বীরদর্পে প্রকাশ্যে মুক্তাগাছা শহর এলাকায় ধাবরিয়ে বেড়াচ্ছে। আসাদ হত্যা মামলার স্বাক্ষী ইমদাদকে ৪ সেপ্টম্বর রাত আনুমানিক ১ টায় স্থানীয় কালা মিয়ার দোকানে খুনের মামলার প্রধান আসামী মাহবুবুল আলম মনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে পিটিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। সুত্রমতে, বিভিন্ন সময়ে আসাদ খুনের প্রধান আসামী মাহবুবুল আলম মনির অপরাধ কর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নিতে গিয়ে গত পাঁচ বছরের অধিক সময়ে মুক্তাগাছা থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন বিচক্ষণ পুলিশ পরিদর্শকের বদলী হতে হয়েছে। মুক্তাগাছায় প্রতিবাদী কন্ঠ ছিলো আসাদ। স্থানীয় ভাবে ব্যপক জনপ্রিয়তা থাকায় তাকে খুন করার ছক আকেঁ একটি চক্র। এর প্রতিফলন ঘটে ১৫ ফেব্রুয়ারী/২০২৩ মুক্তাগাছা থানার কমিনিটি পুলিশিং সভায় প্রধান আসামী মাহবুবুল আলম মনির বক্তৃতায়। যার ভিডিও ছড়িয়ে ছিলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রধান আসামী মাহবুবুল আলম মনির বাহিনী কর্তৃক আসাদ চরম ভাবে আঘাত ও নির্যাতনের শিকার হন গত আগষ্ট মাসে। সেযাত্রায় বেচেঁ যান আসাদ। যার মামলা নং ৯(৭)২০২৩। ধারা- ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৭৯, ১১৪ ও ৫০৬। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ কোন আসামী ধরেনি একবারও অভিযান চালায়নি। আর একারনেই গড-ফাদারের আর্শিবাদে থানার অফিসার ইনচার্জ দীর্ঘ সময় টিকে আছেন। আসাদের শরিরের ক্ষত শুকাতে নাশুকাতেই নির্মম ভাবে গত ২৮ আগষ্ট রাতে সেই একই সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক রাত আনুমানিক সাড়ে আটটায় নির্মম ভাবে খুন হন। সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে কুপিয়ে মারাত্নক জখম করে। পরে পুলিশ ২ জনকে আটক করে। আটকের পর পুলিশ দুজনকে নিয়ে অভিযানে নামে। এলাকাবাসী জানান, প্রধান আসামী মাহবুবুল আলম মনি’র দখল করা ও আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করা বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আসাদ খুনের কাজে ব্যবহরিত দেশীয় অস্র। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা সংস্থ্যায় স্থানান্তরিত হয়। ডিবি পুলিশ এপর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। মুক্তাগাছার স্থানীয় লোকজন জানান, আসাদ খুনের প্রধান আসামী মাহবুবুল আলম মনি প্রতিদিন তার দলবল নিয়ে রাতে বাইকযোগে মহড়া দেয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে আসাদ হত্যা মামলার স্বাক্ষীকে কালার দোকানে বেধরক পিটিয়েছে। এব্যপারে মুক্তাগাছা থানায় জিডি নং ২৪৩ তাং ৫,৯,২৩ ইং।
Leave a Reply