স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ ঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছ উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কমিটিতে বিএনপির বিভিন্ন লোকজনে ঠাসা। এরা কিভাবে আওয়ামীলীগের মত একটি বড় দলের কমিটিতে জায়গা করে নিলো তা জানেনা ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। যুবদল থেকে আসা এক যুবলীগ নেতা মেয়র জামাতা মুক্তাগাছায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ডাক্তার পেটানা, রাস্তায় চাদাঁবাজী করানো, বাড়ি দখল, খুন খারাবীতেও নেতৃত¦ দিচ্ছেন মাহবুবুল আলম মনি। যুবলীগ থেকে তিনি দু,দফা বহ্নিস্কার হয়েছেন। তার অপরাধ কর্মের ব্যবস্তা নিতে গিয়ে গত ৫ বছরে ৭ পুলিশ পরিদর্শকের বদলী হয়েছে। নেতাদের মতে মুক্তাগাছা যেন আলাদা স্বাধীন উপজেলা রূপান্তরিত হয়েছে। ক্ষমতা আর জীবন দুটোই ক্ষনস্থায়ী। ক্ষমতার পালাবদলে মাহবুবুল আলম মনির অদৃশ্য গড ফাদার এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেনা এমন আলটিমেটামের কথা শোনা যাচ্ছে তৃণমূল ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের মূখে। তারা অভিযোগ করেছেন, তার আমলে এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং চাদাঁবাজী, সন্ত্রাসী, খুনখারাবী, জমি দখল আধিপত্য বিস্তার সবই রেড়েছিল। স্থানীয় লোকজন জানায়, এখন লোকজন প্রতিবাদ মূখর। এবার তারা তাদের অধিকার আদায় করবে। যুবলীগ নেতা আসাদ হত্যার পর জনতার ঐক্য বেড়েছে। গত ৬ জুলাই/২০২১ মুক্তাগাছার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সালেকিন মামুনকে বেধরক পিটায় মাহবুবুল আলম মনি ও তার দলবল। মামলা হওয়ার পর ডাক্তারকে তাৎক্ষনিক প্রত্যাহার করা হয়। এই মামলা রেকর্ডকারী পুলিশ পরিদর্শক দুলাল আকন্দকেও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সিসিফুটেজে এর বাস্তবতা থাকলেও পুলিশ এ মামলা থেকে মাহবুবুল আলম মনিকে অব্যহতি দিয়ে চার্জশীট দেয়। ঐ সময়ে মুক্তাগাছা থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহমুদুল আলম ও ওসি তদন্ত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন মাহবুবুল আলম মনির প্রিয়ভাজন এস আই আমিনুল। চার্জশীট দাখিলের পরে তিনি শেরপুর জেলায় বদলী হন, ফের বদলী হয়ে বর্তমানে মুক্তাগায় কর্মরত আছেন। এ ব্যপারে ডাক্তার সালেকিন মামুন জানান, এরপরও কি আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ থাকতে পারে? মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন। তার মেয়ের জামাতা মাহবুবুল আলম মনি। পৌর সভার রাস্তার মোড়ে মোড়ে অটো, টেম্পু, সিএনজি, মাহেন্দ্র,পিকআপ থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্লীপে হরদম হয় চাদাঁবাজী করাচ্ছে। ভ্রম্যমান আদালত এদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে চাদাঁ উত্তোলনকারীরা জানায় তারা মাহবুবুল আলম মনির নির্দেশে চাদাঁ আদায় করেন। মুক্তাগাছা শহরে এক বিধবা মহিলার দু’টি বাসা জোর করে দখলে নিয়েছে মাহবুবুল আলম মনি। বাসা দুটির মূল্য কয়েক কোটি টাকা। হতভাগ্য মহিলা কোন আইনগত সহায়তাও নিতেই পারেনি। মুক্তাগাছার নিপিড়িত নির্যাতিত মানুষগুলো কতটাই ন্যায় বিচার পাবে? এই সন্ত্রাসী চক্রের রোষানলে পড়ে গত ৫ বছরে ৭ জন পুলিশ পরিদর্শকের বদলী হয়েছে। তাদের মধ্যে চৌকশ পুলিশ অফিসার আলীম মাহমুদ, বিপ্লব কুমার, আলী আহম্মেদ, দুলাল আকন্দ, মাহমুদুল হাসান উল্লেখ যোগ্য। বর্তমানে মুক্তাগাছা থানায় কর্মরত আছেন টাংগাইল জেলার আব্দুল মজিদ। অপর দিকে মুক্তাগাছার মেয়র বিল্লাল হোসেনের শশুর বাড়ি টাংগাইলে। চমৎকার যোগসুত্রে ওসি আব্দুল মজিদ মুক্তাগাছায় টিকে গেলেন অনেকটা সময়! আর দু’দফা সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসের শিকার হলেন যুবলীগ নেতা আসাদ। গত ২৮ আগষ্ট সন্ত্রাসীদের আক্রমনের শিকার আসাদের ঐদিনই মৃত্যু হয়। আসাদ খুনের ঘটনায় বাদী তার অভিযোগে ঘটনার সময় উল্লেখ করেছেন রাত আনুমানিক সাড়ে আটটা। ঘটনার সময় আধা ঘন্টা এদিক ওদিক হতে পারে বলেও এ প্রতিবেদককে জানান। বাদীর আশংকা হাসপাতালে মাহবুবুল আলম মনি ও তার দলবল ডাক্তারকে মেরেছিল। সিসিটিভির ফুটেজ ছিল, এখনো আছে ইউটিউবে। সেই মামলা থেকে পুলিশ মাহবুবুল আলম মনিকে বাদ দিয়ে চার্জশীট দিয়েছে। হতাস! সে কতটা ন্যায় বিচার পাবে? পুলিশ এবারো কি মাহবুবুল আলম মনিকে বাদ দিয়ে চার্জশীট দেবে নাকি?
Leave a Reply