আজিজুর রহমান,কেশবপুর(যশোর): এ বছর দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ১০ শতাংশের কম হওয়ায় যশোরের কেশবপুরে দু’টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। ফল বিপর্যয়ের কারণে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সারাদেশে এই তালিকায় রয়েছে ২৯ টি মাদ্রাসা। কেশবপুরের দু’টি হচ্ছে, কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী দারুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও শ্রীফলা কালিয়ারহী দাখিল মাদ্রাসা। এই দু’টি মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় ১০ শতাংশের কম পরীক্ষার্থী পাস করেছে। যা ‘ফল বিপর্যয়’ বলে মনে করছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এ বছর দাখিল পরীক্ষায় ত্রিমোহনী দারুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৮.৩৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করে। এছাড়া, শ্রীফলা কালিয়ারহী দাখিল মাদ্রাসা থেকে পাস করে ৯.০৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী। এ ধরনের ফলাফলের কারণে ইতিমধ্যে এই দু’টি মাদ্রাসার সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে,‘২০২৩ সালের দাখিল পরীক্ষায় ত্রিমোহনী দারুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ১২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে পাস করে মাত্র ৮.৩৩ শতাংশ। যা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৫.৪ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। আপনার প্রতিষ্ঠানের এহেন কর্মকাণ্ড মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এমতাবস্থায় দাখিল পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারীগণের এমপিও সাময়িক স্থগিত/স্থায়ীভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ এই পত্রের স্মারক নম্বর ৫৭.২৫.০০০০.০০২.০১০.০০১.২০-৮২৬। তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩। একই ধরনের পত্র দেয়া হয়েছে শ্রীফলা কালিয়ারহী দাখিল মাদ্রাসার সুপারকেও। এই মাদ্রাসা থেকে এ বছর ১১ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে পাস করে ৯.০৯ শতাংশ। কারণ দর্শানো পত্রের অনুলিপি কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসার ও কেশবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদান করা হয়েছে।
Leave a Reply