লিপি খাতুন,কেশবপুর(যশার): কেশবপুরে মৎস্য ঘেরের ভেড়ি লিজ নিয়ে সবজি চাষ করে স্বাভলম্ভি হয়েছে কেশবপুর উপজেলার ৮নং সুফলাকাটি ইউনিয়নের হাড়িয়াঘোপ গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। এবছরে সবজির নেয্য মূল্য না পেয়ে তিনি খুব হতাশ হয়ে উঠেছে। উপজেলার সুফলাকাটী ইউনিয়নের হাড়িয়াঘোপ গ্রামের বিশিষ্ট মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম। তার ২শ বিঘা জমি নিয়ে একটি মৎস্য ঘের রয়েছে।তার মৎস্য ঘরের ভেড়ি সবজি চাষের জন্যে লিজ নিয়েছে একই গ্রামের উমর আলী মোল্লার ছেলে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। ঐ ঘের ভেড়ির ৩ হাজার ফুট এরিয়া নিয়ে সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ করে আসছে বিগত কয়েক বছর ধরে। এবছরে তিনি ঘের ভেড়িতে চাষ করেছেন মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, সিম, উৎচ্ছে। এর মধ্যে ১৬শ ফুট এরিয়ার ভেড়িতে মিষ্টি কুমড়া, ৬শ ফুট ভেড়িতে বরবটি, ৫শ ফুট ভেড়িতে উৎচ্ছে, ৩শ ফুট ভেড়িতে শীতকালীন সবজি সিমের চাষ করেছেন। তাছাড়া ভেড়ির উপরে আগাম শীতকালীন সবজি টমেটোর চাষ শুরু করেছে। সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে সিরাজুল ইসলাম মোল্লার ঘেরের ভেড়িতে সবজি চাষ পরিদর্শন কালে দেখা গেছে সে এক নয়ন জোড়ানো মনোরম দৃশ্য। মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচা তৈরি করে এলাকা জুড়ে মিষ্টি কুমড়া ও উৎচ্ছের চাষ। তার নিচে মৎস্য ঘেরে প্রচুর মাছের চাষ হয়েছে। আর ভেড়িতে বাঁশ ও নেটের সাহায্যে বেড়া তৈরি করে তাতে সিম আর বরবটির চাষ করা হয়েছে। সবজি চাষি সিরাজুল ইসলামের সাথে আলাপ কালে তিনি এ প্রতিনিধি কে বলেন,বিগত কয়বছরে ঘেরের ভেড়ি লিজ নিয়ে সবজি চাষ করে তিনি প্রচুর লাভবান হয়ে ছিলাম বলে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছি। তার চাষ করা সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর প্রায় ২৫০ মন পাকা মিষ্টি কুমড়া সংগ্রহ করে বাজারে নিয়ে পাইকারি বিক্রি করছেন। তবে এবছর মিষ্টি কুমড়ার যে পাইকারী বাজার মূল্য পেয়েছেন তাতে উৎপাদন খরচ ঘরে আসেনি বলে তিনি জানান । ভেড়ির উপরে সবজি চাষের উপকরণাদী বাঁশ নেট সূতার এতো মূল্য বেড়েছে তাতে আগামীতে এ সবজি চাষ হয়তো আর করা হবে না। বরবটি আর উৎচ্ছের সবে মাত্র ফলন ধরেছে। শীতকালীন সবজি সিম গাছে সবে ফুল ধরেছে।ভেড়ি থেকে বরবটি গাছের নতুন বরবটি তুলে নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। এবছর তিনি সিম বরবটি ও উৎচ্ছের নেয্য মূল্য পাবেন বলে আশা করেন। এলাকার আর এক কৃষক অমল কান্তি পাল জানান সবজি চাষি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার কিছুই ছিলো না। এই সবজি চাষ করে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। এখন সে একজন সফল সবজি চাষি। তার দেখা দেখি এলাকার অনেকেই এই সবজি চাষে উৎসাহী হয়ে উৎসাহী হয়ে উঠেছে।
Leave a Reply