নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া. কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়ন এর দয়রামপুর গ্রামের চিতলের মাঠে অন্যের ধানী জমি নষ্ট করে আইন অমান্য করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে খোজখবর নিয়ে জানাযায়, মোঃ মইদুল ইসলাম পিতা মৃত মহিউদ্দিন বিশ্বাস গ্রাম দয়রামপুর অভিযোগ করে বলেন। তার নিজ নামীয় ১৬ শতাংশ এবং অন্যের নিকট থেকে বায়না নামা মোতাবেক ক্রয় করা ৮ কাঠা ধানী জমি নষ্ট সহ আইন অমান্য করে।পুকুর খনন করতে থাকে একই গ্রামের মোঃ ওয়াদুদ হোসেন(ওদু) পিতা মৃত দুখি মন্ডল। বলেন আমি চাকুরী করি সেই সুত্রে চাষাবাদ করতে পারি না। সেকারণে ওদুর নিকট এই জমি ধান চাষের জন্যে বর্গা দেয়। সে ধান চাষ করে আসছেন। কিন্তু গত শনিবার গভীর রাতে এক্সিভেটর লাগিয়ে আমার নিজ জমি’র মাঝখানে রেখে ক্রয় করা জমি সহ তার ধানী জমিতে পুকুর খনন করে।আমার জমির চারপাশে গভীর করে পুকুর খনন করতে নিষেধ করি।কিন্তু সে কোন কর্ণপাত করেনি।এরপর আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ জানায়।এরপর দোড়া ইউনিয়ন এর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন মাঠে যায় ঠিকই কিন্তু পুকুর খনন হয়ে যাওয়ার পর।অন্যের বর্গা নেওয়া জমি বিনা অনুমতিতে পুকুর খনন এবং ধানী জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খননে প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছেন কি ও অনুমতি পেয়েছেন কি-না জানতে চাইলে ওয়াদুদ হোসেন বলেন,আমার আইন’কে অমান্য করা ঠিক হয়নি।এবিষয়ে দোড়া ইউনিয়ন এর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন এর নিকট অন্যের ধানী জমি নষ্ট সহ শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করার বিষয় জানতে চাইলে বলেন,আমি বন্ধ করে দিয়েছি। বলেন আমি অনুমতি নিয়ে কাজ করতে বলেছি।জানতে চাওয়া হয় তাহলে কি পুকুর খননের বিষয় টা আপনি আগে থেকেই জানতেন। তখন বলেন,আবেদন করেছেন পুকুর খনন করার জন্য। আবেদন করার পর পুকুর খনন করার কোন অনুমতি পেয়েছেন নাকি। তিনি বলেন,আমি কিছু বলতে পারবো না আপনারা উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট জানেন বলে সাংবাদিকের উপর চড়াও হন।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে জানান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আপনার নিকট পুকুর খননের আবেদন করেছিলেন কিনা তখন জানান আবেদন করলেই তো পুকুর কাটতে পারবে না। কিন্তু অনুমোদন ছাড়া কিভাবে খনন করলেন তখন বলেন যদি অনুমোদন ছাড়া পুকুর খনন করে থাকেন তাহলে তদন্ত করে মামলা দিয়ে দেওয়া হবে।
Leave a Reply