কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ মেয়াদ প্রায় ৫ মাস শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি সড়কের। অভিযোগ উঠেছে সড়কের এজিনের ইট তছরুপ, ভালমানের বালি ব্যবহার না করা, ঠিকমত রোলার না করা এবং মাটির উপর ব্লক বসানোর। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানোর পরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী। আর এভাবেই গুঁজামিল দিয়ে চলছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের নওদাগ্রাম – পাশপাতিলা সড়ক নির্মাণ এর কাজ। যা ঘটনাস্থলে সত্যতা পেয়েছেন সংবাদ কর্মিরা। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী হুজাইফা হোসেন বলেন, ১৪৬৫ মিটার সড়কের চুক্তিমূল্য ৮৯২১৬২৪.৮০ টাকা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহের মেসার্স ফিরোজ এন্টারপ্রাইজ। সড়কের কাজ শুরুর সঠিক তারিখ আমার জানা নাই। তবে গেল ১৫ অক্টোবর তারিখ থেকে এ সড়কে কাজ চলছে বলে মনে হয়। তিনি বলেন, কাজে অনিয়ম হচ্ছে না। কারন হিসেবে তিনি বলেন, আমরা সরকারি চাকুরী করি। আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। সেখান থেকে আমরা আমাদের সাধ্য মত কাজ বুঝে নিয়ে থাকি। সড়কের এজিনের ইট তছরুপ প্রসঙ্গে সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, কোন ইট সড়ক থেকে চুরি হয়নি। আর কোন অনিয়মের জন্য কোন দিন কাজ বন্ধ হয়নি। বন্ধ ছিল বালু না থাকায়। তিনি আরো বলেন, ব্লকের নিচে কিছু বালু ধরা থাকলেও উপরে কোন বালু ধরা নাই বললেই চলে। নতুন ইটের বরাদ্দ না থাকলেও এজিন এর ইট দিয়ে খুঁয়া তৈরির কথা ছিল বলে তিনি জানান। অভিযোগের বিষয় ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি। নওদাগ্রামের মোজাম হোসেন বলেন, আমি দুই থেকে তিন গাড়ি ইট নিয়ে যেতে দেখেছি। আর চোখের আড়ালে কত গাড়ি গেছে তা আমার জানা নাই। কাজের মান কেমন হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কাজ অবশ্যই খারাপ হচ্ছে। ব্লকের নিচে কোন ইটের খোয়া দিচ্ছে না। আবার রোলারও করেন নাই ভাল করে। কিছু দিন যাবার পর সড়কটি আবারও আগের অবস্থা হয়ে যাবে। চলাচল করার উপায় থাকবে না এ সড়কে। তিনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নিকট। ওই গ্রামের শিক্ষার্থী সাঈদ হোসেন বলেন, আমার জানামতে এক কিলোমিটার সড়কে এজিনের ১৫/১৬ গাড়ি ইট উঠেছিল। তাঁর কোনটি এ সড়কে ব্যবহার করা হয়নি। তারা মানুষের অগোরে সব ইট তছরুপ করেছেন। তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মানুষ সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে বলেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তারা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের মত করে কাজ কর যাচ্ছেন। এ ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন। এ দিকে কার্য সহকারী জাহাঙ্গীর কবির ইট চুরি হওয়ার কথা শুনেছেন, কিন্তু দেখিনি বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমে কর্মীদের। যারা সড়কের ইট নিয়েছেন, তারা স্বীকার করেছেন অফিসের এ কর্মকর্তার নিকট এমটাই বলেছেন তিনি সাংবাদিকদের। এরপরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। যিনি ইটগুলো নিয়েছেন, তিনি স্বীকার করেছেন ২ শ ইট নেওয়ার কথা। তবে গ্রামবাসীর অভিযোগ ১৫/২০ টলি ইট নিয়ে গেছেন তারা। তিনি বলেন, এ সড়কে ভাল এজিন বোনা থাকলে, ১৬ গাড়ি ইট হত। তবে এজিন ছিল ভাঙ্গাচুরা। তারা কিছু ইট ভেঙ্গে রাস্তায় দিয়েছেন। আর কিছু ইট নিতে পারেন। তিনি আরো বলেন, আমরা কাজ দেখে নিচ্ছি ১৪ আনা, ১৬ আনা পারছিনা। কারন ১৬ আনা দেখে নেয়া সম্ভব না।
Leave a Reply