নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়ন এর কাগমারি কুমিল্লা পাড়া দিনমজুর হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র সন্তান মোছাঃ লাখি খাতুন (২১) পিতা মোঃ আবু তাহের এর সহিত গত ৬ বছর পূর্বে বিবাহ হয়।মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়ন এর আলামপুর গ্রামের আব্দুল কাদের এর ছেলে মোঃ মঞ্জুর হোসেন (২৫) সাথে।স্বামীর অভাবের সংসারে সুখ দুঃখের ভাগাভাগি করেই চলে জীবন। সংসারে নতুন অতিথি হিসেবে জন্ম হয় এক পুত্র সন্তান মোঃ ইনামুল হোসেন (৪)।স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে অসময়ে চাপ সৃষ্টি করে বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য। একমাত্র মেয়ের সংসার জীবনে সুখের কথা ভেবে ৯০ হাজার টাকা দেয় এককালীন। যৌতুক হিসেবে দেন ৭০ হাজার টাকা।এতেই-তো আর শেষ নয়।মেয়ে জামাই কে দেওয়ার শেষ হয় না কখনো।যখনই কোন অভাবের মধ্যে আবদ্ধ হয় তখনই ২ হাজার ৪ হাজার ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত যখন যা জোগাড় করতে পারেন,তখনই বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে যায় স্বামীর সংসারের অভাব-
অনটন লাঘব করতে।কিছু দিন পূর্বে স্বামী একই গ্রামের মোঃ মাহবু্ুবুর রহমান
(৩০)পিতা মোঃ নুর ইসলাম এর নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা হাওলাত নেয়। টাকা দিতে না পারাই প্রায়ই মোবাইল করেন টাকার জন্য। তখনই পাওনাদারের ফোন কল আমাকে বলতেন ফোন ধরতে। আমাকে বলতেন লাখি তুমি ওর সাথে কথা বললে পাওনাদারের টাকার চাপ কিছুটা কম হবে। স্বামী’র ফোনের মাধ্যমে চক্রান্ত করে পাওনাদারের সাথে ফোনে কথা বলার অপরাধ দেখায়।শ্বশুর শাশুড়ী মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গেলে সাদা কাগজে স্থানীয় ১২ নং আজমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আব্দুস সবুর এর মাধ্যমে সরল বিশ্বাসে স্ত্রীর সাক্ষর করে নেন অনুদানের প্রলোভনে।এরপর শ্বশুর কে বলেন একটা স্বাক্ষর করতে। এরপর শ্বশুর শ্বাশুড়ি মেয়ে কে নিয়ে নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসেন। স্থানীয় মেম্বার মোঃ আব্দুস সবুর মালামাল নিয়ে কাগমারি কুমিল্লা পাড়া এসে বলেন,তোমার তো তালাক হয়ে গেছে।কিভাবে কেন তালাক হয়েছে জানতে চাইলে মেম্বার বলেন। তুমি যে কাগজে স্বাক্ষর করেছো তার কারণে তালাক হয়েছে। মেম্বার বলে তুমি আমার সাথে থাকবে তালাক হয়েছে তো কি হয়েছে। তোমার স্বামীর নামে কোর্টে মামলা দায়ের করে দেব তুমি ৬ হাজার টাকা জোগাড় করে আগামী রবিবার ২৮ তারিখে প্রস্তুত হয়ে থাকবে। মেম্বার মালামাল নিয়ে আসার কারণে প্রতিবেশী বাড়ির সকলে বলতে লাগলো গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েটি বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন মেয়েটি ও তার কোলের সন্তানের বা,কি হবে। কে করলো এই প্রতারণা। এমতবস্থায় প্রতারণার সংবাদ টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যম কর্মীরা ঐ বাড়ি পৌঁছেলে কিছুক্ষণ পরে মেম্বার মেয়ের বাড়িতে হাজির গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের মুখে পড়লে প্রসব করার নাম করে মোটরসাইকেল রেখে দ্রুত পালিয়ে যায় মেম্বার। অভিযুক্ত ব্যক্তি মোঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন,আমার কাছ থেকে ১০ টাকা ধার নেই মঞ্জুর সে-ই টাকার বিষয় নিয়ে মাত্র ২/৩ দিন কথা হয়েছে তার বেশি নয়।কথা বলা হয় ১২ নং আজমপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন এর সাথে তিনি বলেন,আইন সবার জন্য সমান যদি এরকম করে থাকেন মেম্বার অন্যায় করেছে তবে মেয়েটিকে আমার পরিষদে একটা অভিযোগ করতে বলেন,সুষ্ঠু বিচার আমি করে দেব।মেম্বারের নিকট মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার একাধিকবার
ফোন করেও রিসিভ করেননি।এবিষয়ে মঞ্জুর হোসেন এর নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি মাহাবুবুর রহমানের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নি নাই এবং কাজি ডেকে তালাক দিয়ে দিয়েছি ও আমার স্ত্রী যা বলেছে মিথ্যা বলেছে।
Leave a Reply