মোঃ মুনাইম ইসলাম, ্ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিঅ্যান্ডবি মাঠপাড়ায় এক কৃষকের ৪১ শতক জমির পেঁপে বাগান কেটে তছরুপ করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৬ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কৃষক আপিল উদ্দীন সিঅ্যান্ডবি পাড়ার মৃত রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে।এ ঘটনায় গতকাল সোমবার উভয়পক্ষ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।স্থানীয়রা জানান, আপিল উদ্দীন ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। এবার তিনি পেঁপে বাগান করেছেন। সোমবার সকালে স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কমিশনারসহ কয়েকজন হাসুয়া ও কোদাল দিয়ে বাগানের পেঁপে গাছ কাটতে শুরু করেন। পরে জমির মধ্যে খুটি পুতে তারা সেখান থেকে চলে যায়। খবর পেয়ে আপিল উদ্দীন পেঁপে বাগান তছরুপ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।ভুক্তভোগী কৃষক আপিল উদ্দীন বলেন, ‘সকাল সাড়ে আটটার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি কয়েকজন আমার পেঁপে বাগানে ঢুকে কুপিয়ে সব গাছ কেটে ফেলছে। বাগানে গিয়ে দেখি প্রায় ৪০০টিরও বেশি ফলন্ত গাছ কাটা হয়েছে। এতে আমার দুই লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তারা আবার জমির মধ্যে খুটিও পুতে রেখেছে। আমার জমিতে এতকিছু হয়ে যাচ্ছে, অথচ আমাকে ওরা কেউ কিছু বলেইনি। আমি জমি ক্রয়ের পর থেকে খাজনা পরিশোধ করে আসছি।তিনি আরও বলেন, স্থানীয় রবিউল নামে একজন দাবি করছেন জমি নাকি তাদের। অথচ রবিউলের পিতা রহিম কবস মল্লিক মৃত্যুর পূর্বে তার জমি আকবারের স্ত্রী আসিয়া বেগমকে বিক্রি করেন। পূর্বে আমি ওই জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করলেও ২০১৩ সালে ওই জমি বিক্রি করলে তার নিকট থেকে আমি ক্রয় করি। এরপর থেকে জমি আমার দখলেই রয়েছে।’তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাধীন বুজরুকগড়গড়ী ৭ নম্বর মৌজায় আমার নামে থাকা ৪১ শতক জমি, যার হোল্ডিং নং-৮৯৮৯ এবং খতিয়ান নং-১৬৮। উক্ত জমি জোড় পূর্বক দখল করার জন্য রবিউল ইসলাম আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছিলো। জোরপূর্বক তারা জমি দখল করতে চাচ্ছে। নিস্তার পেতে থানায় অভিযোগ করেছি।এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম বলেন, তারা জোর করে পেঁপে বাগান করেছে। কারা পেঁপে বাগান কেটেছে আমি জানি না। ওরা নিজেরাই পেঁপে গাছ কাটতে পারে। একটি পক্ষ ওই জমি কিনেছে, তারাও দখল নিতে পেঁপে বাগান কাটতে পারে। জমির দখল ফিরে পেরে আমরাও থানায় অভিযোগ করেছি।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার মুনছুর আলী মনো বলেন, রবিউল ইসলাম সকালে আমাকে ডাকলে আমি ওই জমিতে যায়। এর আগেই তারা পেপে গাছ কর্তন করেছে। আমি যাওয়ার পর আর কেউ গাছ কাটেনি। আমি এর সঙ্গে জড়িত নয়। স্থানীয় কাউন্সিলর হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে আমাকে যেতে হয়। রবিউল হক আমার বন্ধু, তাই ঘটনা সম্পর্কে জানতে সকালে পেঁপে বাগানে গিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, শুনেছি থানায় দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে। উভয়পক্ষ তাদের দলিল দেখালেই জমির প্রকৃত মালিক কে তা জানা যাবে।চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার বলেন, দমি দখল ও পেঁপে বাগান কাটার ঘটনায় দুই পক্ষ থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply