চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা। মোঃ শাহাব উদ্দিন আহমেদ কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার)সংবাদদাতা কমলগঞ্জ উপজেলার সুনছড়া চা বাগানের পাশর্^বর্তী কালিছালী আবাসন সংলগ্ন স্থান থেকে শতবর্ষী গর্জন গাছ চুরির ঘটনা ঘটে। গাছ খন্ডাংশ করে অর্ধেক চুরি হওয়ার পর স্থানীয় বনবিট কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে চুরি হওয়া গাছের অর্ধেক পরিমাণ খন্ডাংশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় প্রকৃত আসামীকে বাদ দিলেও অন্য চার ব্যক্তিকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ মে শুক্রবার বিকাল ৫ ঘটিকায়। স্থানীয় ও বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুনছড়া চা বাগানের ১৬ নম্বর সেকশনের পাশর্^বর্তী ১ নম্বর খাস খতিয়ানভূক্ত ভূমি হতে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শতবর্ষী গর্জন গাছ কর্তন করা হয়। গাছ কর্তনের পর চোরচক্র প্রায় ৮০ ঘনফুট গোলকাঠ অপসারন করে। পরবর্তীতে স্থানীয় বনবিট কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবহিত করেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), রাজকান্দি বনরেঞ্জ, কামারছড়া বনবিট কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ১২৮ ঘনফুট গোলকাঠ জব্দ করেন। এঘটনায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কমলেন্দু ভট্টাচার্য্য বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আলীনগর ইউনিয়নের পূর্ব চিৎলীয়া গ্রামের মকবুল মিয়া (৪৫), রশিদ উল্ল্যা (৪০), ইব্রাহিম উল্ল্যা (৪২) ও সাকের আলী (২২) কে আসামী করা হয়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা ও বনবিভাগের এক কর্মী জানান, মিলন মিয়া নামে এক ব্যক্তির সহযোগে গাছ চুরির ঘটনা ঘটলেও তাকে আসামী করা হয়নি। এ ব্যাপারে কামারছড়া বনবিট কর্মকর্তা মো. আহমদ আলী বলেন, সরকারি ভূমি থেকে শতবর্ষী গাছ চুরির খবর পাওয়ার সাথে সাথেই রেঞ্জ কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড স্যারকে জানাই। পরে যৌথভাবে কিছু খন্ডাংশ উদ্ধার করা হয়। তবে এর আগেই ৮০ ঘনফুটের মতো মূল্যবান খন্ডাংশ চুরি হয়েছে। গাছটির মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা হতে পারে। এব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রইছ আল রেজুয়ান বলেন, খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে ১২৮.১৫ ঘনফুট গোলকাঠ জব্দ করা হয়েছে। তবে অবশিষ্ট কাঠগুলো অভিযুক্তরা পাচার করেছে। থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে আরো কেউ জড়িত থাকলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Leave a Reply