1. admin@agamirdorpon.com : admin :
  2. agamirdarpon@gmail.com : News admin :
বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের হাওরে ব্রি-২৮ ধানে চিটা
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ মির্জাপুর ইউপি শাখার সভাপতি হৃদয় আহমেদ সম্পাদক হাকিম মিয়া ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আলামনাই এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা (জুয়ানা ) বর্ষবরণ ও ঈদ পুনর্মিলনী বোরহানউদ্দিনে যাত্রীবাহী বাস উল্টে ডোবায়,আহত ১০ চাটখিলে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের নব-নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত দেশে ফিরতে চাই প্রবাসী সূর্য মুক্তি তোমায় দিলাম বোরহানউদ্দিনে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে জুয়ার আসর থেকে ১০ জুয়ারি আটক লালপুরে সাংবাদিক কে হত্যার হুমকি আদালতে মামলা তদন্ত করবেন পিবি আই বোরহানউদ্দিনে ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল,হাজারো মানুষের ঢল

বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের হাওরে ব্রি-২৮ ধানে চিটা

  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১১৪ Time View

 

মো ইফাজ খাঁ স্টাফ রিপোর্টার মাধবপুর. হবিগঞ্জ সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ

 

বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের হাওরে ব্রি-২৮ জাতের ধান ব্লাস ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছে। এতে ওই ধানে কোন আশ নেই। ওই ধানের প্রায় পুরোটাই চিটা (চুছা)। গাছও সাদা হয়ে গেছে। দিনে ও রাতে তাপমাত্রার উঠানামার কারণে এ ব্রি-২৮ জাতের ধানে ব্লাস ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছে। ধানে চিটা পড়ায় কৃষকরা নির্বাক। একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছেন তারা। ধান পাঁকা ধরে যখন সোনালী হয়ে ওঠার কথা। ঠিক তখনই সাদা রং ধরা ধানের খাড়া শীষ দেখেই বুঝতে পারেন তাদের কপাল এবার পুড়েছে।

সরজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ১৯৮৮ সনে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপণ কৃষকরা জমিতে করে থাকেন। কারণ এ ধান চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে কাটা শুরু হয়। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হবার ভয় থাকে কম। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ব্রি-২৮ এর ফলন ভাল হয়েছে। গাছে ধান (ছড়া) বের হবার পর গাছ ও ছড়ার রং পরিবর্তণ হয়ে সাদা রং ধারণ করে। ধানের ভেতর দেখা যায় চাল নেই। প্রায় পুরোটাই ছিটা (চুছা)। আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার অধিকাংশ হাওরে তবে ব্যাপক হারে চিটা পড়েছে। এই দু’উপজেলার হাওরের সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সহস্রাধিক একর জমির ব্রি-২৮ ধানে চিটা পড়েছে। তবে অন্যান্য জাতের ধানে এখন পর্যন্ত কোন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়নি।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগর গ্রামের কৃষক বজলু মিয়া জানান, পশ্চিম হাওরের সেচ প্রকাল্পাধীন হাওরের অধিকাংশ জমিতেই উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপণ করা হয়েছিল। ওই সব জমিতে চিটা পড়ে গেছে। এর মধ্যে তার জমি রয়েছে ১৬ একর।

বানিয়াচং কামালখানী গ্রামের কৃষক খালেদ মিয়া বললেন, বড়গুলিয়াসহ বানিয়াচংয়ের অধিকাংশ হাওরের সেচ প্রকল্পাধীন প্রায় ৫শতাধিক একর জমির ধানে চিটা পড়েছে। এ হাওরে তার ৪ একর ব্রি-২৮ ধানে চিটা পড়েছে। তবে অন্যান্য জাতের ধানের ফলন স্বাভাবিক রয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন শেষ সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় বাম্পার ফলন হবে। ইতিমধ্যে হাইব্রিড ধান কাঁটা শুরু হয়ে গেছে। কেদার (২৮ শতক) প্রতি ২২ থেকে ২৪ মণ ফলন হয়েছে।

চিটা পড়া নিয়ে বানিয়াচং কৃষি বিভাগ তাপমাত্রা উঠানামা সহ ৪টি কারণ প্রথমিকভাবে চিহ্নিত করেছে। তন্মধ্যে অতিরিক্ত ইউরিয়া অর্থাৎ কেদার প্রতি ২৫ কেজি থেকে ২৮ কেজির স্থলে ৫০/৬০ কেজি প্রয়োগ। সময়মত সেচ না দেয়া। বেশি বয়সের অর্থ্যৎ ৪০/৫০ দিনের স্থলে ৫০/৬০ দিন বয়সের চারা রোপণ করায় চিটার সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। কৃষি অফিসে ধানে চিটা সম্পর্কে জানতে গেলে ৬জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিন-রাতের তাপমাত্রার ব্যবধানকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাদের মতে, দিনে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির উপরে এবং রাতে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে থাকায় ব্রি-২৮ জাতের ধানে ব্লাস ডিজিজ দেখা দিয়েছে। পর্যালোচনায় দেখা যায় ওই সব ব্রি-২৮ জাতের ধান মাঘ মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে রোপন করা। ফাল্গুন মাসের শেষ দিকে কয়েক ফসলা বৃষ্টিপাত হলে এ অঞ্চলে রাতে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যায়। অনেক কৃষকও জানিয়েছেন, চৈত্র মাস পর্যন্ত রাতের বেলায় লেপ-কাঁথা গায়ে জাড়িয়ে ঘুমাতে হয়েছে। ফলে ওই ধান গাছে ফাওয়ারিং এর সময় দিন-রাতের তাপমাত্রার ব্যবধানে পুং কেশর ও স্ত্রী কেশর বিকলাঙ্গঁ হয়ে পড়ায় পরাগায়নে ব্যত্যয় ঘটে এবং চিটা দেখা দেয়। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরাও চৈত্র মাসের ঠান্ডাকেই প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে ২০০৬ সালেও প্রচন্ড ঠান্ডায় এসব হাওরে ৮০/৯০ ভাগ ধানে চিটা হওয়ার একটি তিক্ত অবিজ্ঞতাও তাদের রয়েছে। তবে বীজ নিয়েও তাদের একটা সন্দেহ রয়েছে। অনেক কৃষকই বি.এ.ডি.সি এর বীজ ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে অন্যান্য কোম্পানীর বীজও রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের অনেক কৃষক জানিয়েছেন, চৈত্র মাসে খরা থাকলেও সেচ দেয়া সহ সার ও ভিটামিন প্রয়োগ করার পরও এ অবস্থা হয়েছে। তাদের হিসেবে প্রতি কেদার জমিতে সব মিলিয়ে ৫/৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এসব টাকা ব্যাংক ঋণ ও ধার-কর্জ্জ করে বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়া অনেক কৃষক রয়েছেন যারা অন্যের জমি বর্গা (রংজমা) এনে চাষ করেছেন। এ জমিতে কেদার প্রতি ২০/২২ মণ ধান উৎপাদন হবার কথা। কিন্তু এখন তাদের মাথায় হাত। কোন কোন জমিতে সেচ বাবদ ও কাটা-মাড়াই বাবদ ধান দিয়ে কেদার প্রতি ১/২ মণ ধান ও কোনো কোনো জমিতে খড় ছাড়া কিছুই পাওয়া সম্ভাবনা নেই কৃষকদের।

June 2023
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

Please Share This Post in Your Social Media

One response to “বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের হাওরে ব্রি-২৮ ধানে চিটা”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Design & Developed By BD IT HOST