স্টাফ রিপোর্টারঃ ‘
বই হোক হৃদয়ের স্পন্দন।’ পাঠক তৈরি করার একটি সংগঠন। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের সাফল্য এবং উৎকর্ষতায় পুরো বিশ্ব এগিয়ে গেছে অনেকদূর। তাদের নতুন নতুন আবিষ্কারের সুবিধা ভোগ করছে সারা পৃথিবীর মানুষ। এরমধ্যে অন্যতম হলো মোবাইল ফোন। এই ফোন আমাদের জন্য যতটা সুবিধা বয়ে এনেছে, ঠিক ততটাই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের আপামর জনসাধারণ এমনকি তরুণরাও পিছিয়ে নেই এর যথেচ্ছ ব্যবহারে। প্রযুক্তি নিশ্চয়ই মানুষের কল্যাণের জন্য কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের তরুণ প্রজন্ম আজকাল মোবাইলে এত বেশি সময় অপচয় করছে যে, তাদের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ থমকে গেছে। সাহিত্য মানুষের মননকে বিকশিত করে। ভালো একজন মানুষ হতে উদ্বুদ্ধ করে। এরজন্য প্রচুর বই পড়া দরকার। যেহেতু বই কেনার প্রতি বর্তমান প্রজন্মের অতি অনাগ্রহ, তাই তারা উদ্যোগ নিয়েছে অন্তত কিছু তরুণদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করবে, যাতে তাদের মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয় এবং মোবাইলের আশক্তি থেকে সরে এসে একজন সত্যিকারের সৃজনশীল মানুষ হয়ে উঠতে পারে। ‘বই হোক হৃদয়ের স্পন্দন’ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক লেখক সেলিম হাসান বলেন— ‘বই হোক হৃদয়ের স্পন্দন’ এই শ্লোগানে মুখরিত হয়ে কাজ করতে চাই একজীবন। বই হোক হৃদয়ের স্পন্দন ‘ এটি মূলত পাঠক তৈরি করার একটি সংগঠন। বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সংগঠনটি পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ । বর্তমানে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে দেশের ৬৪ জেলায় আমাদের স্বেচ্ছাসেবী সদস্য সংগ্রহ করা এবং সেই সকল সদস্য বন্ধুদের নিয়ে তাঁদের জেলার বই পড়ুয়া পাঠক চক্র তৈরি করার। আমরা যেহেতু শিক্ষার্থী তাই আমাদের সাধ্য মতো পাঠকের পছন্দের বই পড়ানো। সেই জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজে শিক্ষার্থীর মাঝে বইয়ের গুরুত্ব সম্পর্ক জানানো ও তাদের বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করা। আমরা বরাবর স্বপ্ন দেখতে ভিষণ পছন্দ করি, সবারই স্বপ্ন থাকে স্বপ্নের জগৎ তো থাকে। তেমনি আমারও একটি স্বপ্ন হয়েছে কিছু উম্মুক্ত পাঠাগার স্থাপন করার। আমাদের সংগঠনটির “বই হোক হৃদয়ের স্পন্দন নামে ফেসবুকে একটি গ্রুপ আছে, যেখানে প্রায় ১৯ হাজার পাঠকের পরিবার। সেখান থেকে আমরা প্রতি মাসে সেরা পাঠক নির্বাচন করি এবং আমাদের সংগ্রহে থাকা বইগুলো থেকে সেরা নির্বাচিত পাঠকদের সম্পূর্ণ ফ্রিতে, এমনকি কুরিয়ার খরচ ছাড়াই আমরা তাদের সাথে কথা বলে, তাদের বাসার ঠিকানা নিয়ে বই পৌঁছে দিই। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন কলেজে বিনামূল্যে বই প্রদান উৎসবের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি ।
Leave a Reply