1. admin@agamirdorpon.com : admin :
  2. agamirdarpon@gmail.com : News admin :
বিশ্ব ব্যাংকের ৫০তম অধিবেশনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষনের সময় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছে সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ )
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ কর্মী নিয়োগ চলছে
দৈনিক আগামীর দর্পণে,দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুরুষ মহিলা সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান, agamirdarpon@gmail.com, ০১৯১৭-৬৬৫৪৫০
শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁও হরিপুরে ১১০ গ্রাম শুকনো গাজা সহ ০১ জন মাতক ব্যবসায়ী গ্রেফতার: ঠাকুরগাঁও রুহিয়ায় ১ শত গ্রাম শুকনো গাজা ও দুই পিস টেপান্ডোল ট্যাবলেট সহ একজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার: কোটচাঁদপুর হালদার পাড়া থেকে মোটরসাইকেল চুরি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায় ব্রি উদ্ভাবিত হাইব্রিড ধান ৮ এর ফলনে চমক। “পরিবর্তনে অংশ নিন, উন্নয়ন বুঝে নিন” হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ নরসিংদীতে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স” ১৫ তম ব্যাচ – এর কোর্স সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠান; ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন। ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক ইজিবাইক চালকের।

বিশ্ব ব্যাংকের ৫০তম অধিবেশনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষনের সময় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছে সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ )

  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০২৩
  • ৭৯ Time View
হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে, লোপাট . ভোটাধিকার হরণ , ব্যক্তিকেন্দ্রীক একনায়কতান্ত্রিক শাসনের দুঃসহ বাংলাদেশের সর্বত্রই দৃশ্যমান : জেএসএফ নামে নতুন গঠিত সংগঠন এমন দাবী করে ।গত ১লা মে বিশ্ব ব্যাংকের ৫০তম অধিবেশনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের সময় বিশ্ব ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছে নতুন গঠিত সংগঠন জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশ। খবর বাপসনিউজ। জেএসএফ দাবী করেন,বিনাভোটের সরকারের অন্যায় অবিচার খুন গুম লুপাটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবার গণতান্ত্রিক সরকার বাধাগ্রস্ত হয় এমন দাবী করেন নেতৃবৃনদ ।তারা বলেন,২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হয়ে আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রের ভিত্তির ওপর ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ এখন দুঃসময় পার করছে। তারা রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রসমাজে বিভেদ-বিভাজনের মাধ্যমে চরম মেরুকরণ করেছে। একনায়কতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মুখ থুবড়ে পড়েছে। নেতৃবৃনদ বলেন, বাকশালী ইতিহাসের পুনর্লিখনে নতুন অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। বিচার, প্রশাসন, সংসদ, নির্বাচন কমিশন সবাই মুখোশের আড়ালে বাকশালী চেতনা ধারণ করে আওয়ামী সরকারের পক্ষে কাজ করে চলছে। তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সহনশীলতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অচেনা করে তুলছে। ব্যক্তিকেন্দ্রীক একনায়কতান্ত্রিক শাসনের দুঃসহ পরিণতি এখন গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই দৃশ্যমান। রক্তপাত ছাড়া এই সরকারের আর কোন অবলম্বন নেই। জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশ এর উপস্থিত নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে হাজি আনোয়ার হোসেন লিটন বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সঙ্কট এমন একটি পর্যায়ে উপনীত হয়েছে যে, সামান্য একটি নির্বাচন করতেও সংবিধান সংস্কার করতে হয়। বাংলাদেশ এখন পরিবর্তনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। যারা জনগণের রাজনীতি করেন, যারা জনগণের পক্ষে রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চান, তাদের প্রত্যেকের উচিত সম্ভাব্য সেই পরিবর্তনকে অনিবার্য করে তোলা। নব্য ঔপনিবেশিকতার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যাওয়া ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্কট থেকে বের হওয়ার আর বিকল্প কোনো পথ নেই। অন্য যা কিছু করা হোক না কেন, তা সঙ্কটকে সাময়িক ধামাচাপা দিতে পারে, কিন্তু অচিরেই তা আরো বড় সঙ্কটের আকারে হাজির হতে পারে। হাজার হাজার টাকা পাচার , লোপাট , দুর্নীতি , ব্যক্তিপূজা করে দেশকে নরকে পরিনিত করেছে এই অনির্বাচিত সরকার। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই নেমে আসে হামলা ,মামলা। মুক্তি যুদ্ধের দাবিদারদের দলে রাজাকারের সখ্য দেখলেই পরিষ্কার বুঝা যায় তারা ৭১ সালের নাম দিয়ে জনগণকে জিম্মি করে নিজেদের দলীয় লোপাট অব্যহত রাখছে। গুম করে অস্বীকার করা এই সরকারের চরিত্র। শেয়ার বাজার ডাকাতি , রিজার্ভ ডাকাতির কোন বিচার না করে ডাকাতচক্রকে নিয়ে ক্ষমতায় এই সরকার। জেনারেল এরশাদের আমলে রাজনৈতিক দলের স্লোগান ছিল- ‘আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। এই মুহূর্তে দরকার কেয়ারটেকার সরকার, ক্ষমতায় থেকে সংসদ নির্বাচন মানি না মানব না। মাগুরা ও মিরপুরের মতো নির্বাচন মানি না মানব না, কেয়ারটেকার ছাড়া নির্বাচন মানি না মানব না।’ হরতাল, অবরোধ, সচিবালয়ের সরকারি কর্মচারীদের দিগম্বর করা, বাস-ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র সংগঠন, আইনজীবী, শ্রমিক, জনতা, রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপকভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে। বাংলাদেশ পুলিশের গুলিতে নিহত হন জিহাদ, ডা: মিলন, নূর হোসেন, বসুনিয়া, দিপালী সাহা প্রমুখ রাজনৈতিক দলের নেতা। বিরোধী দল ১৫৪ দিন হরতাল পালন করে। কেয়ারটেকারের অধীনে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) -জামাতের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। ক্ষমতাসীন দলের অধীনে ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯৬ এর ১৫ ফেবরুয়ারী,২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে।জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশ এর উপস্থিত নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে আহমদ উল্লাহ বলেন – বাঙালি জাতি ২৪ বছর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও পাকিস্তানি জেনারেলদের শোষণ ভুলে গেছে। ক্ষমতা দখল করে রাখার মানসিকতার কারণে রাজনৈতিক দলের লিডারদের সরকারে থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন মানি না। বিরোধী দলে থাকলে সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন ও কেয়ারটেকার সরকারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। এভাবে সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের জন্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না পারলে বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে গণতন্ত্র একটি তামাশায় পরিণত হয়ে থাকবে। অবাধ ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব রয়েছে। বাংলদেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলের জাতীয় কাউন্সিলে অনেক অবাক করা বিষয় দেখা যায় । ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে পুরো জাতি ও বিশ্ববাসী দেখেছে। দলীয় কাউন্সিলের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় না। কাউন্সিলরদের কোনো ভোটিং পাওয়ার নেই, কাউন্সিলরদের ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো নিরপেক্ষতা বজায় রেখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিচালনা করে। ২০০৭ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা মানেই শতভাগ ব্যালট পেপারের নিশ্চয়তা। অন্যদিকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন জাতির প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ১৫তম সংবিধান সংশোধনীর রায় ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিবউদ্দিনদের ভোটারবিহীন সংসদ নির্বাচন পরিচালনা, নুরুল হুদার দিনের আলোর ভোট রাতের বেলা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করে কারচুপির মাধ্যমে সরকার গঠনের দায়ভার জাতিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বহন করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 agamirdorpon.com
Design & Developed By BD IT HOST