স্টাফ রিপোর্টারঃ
নড়াইলের লোহাগড়ায় একসাথে স্বামী ও পরকীয়া প্রেমিকের সাথে সংসার করছেন এক শিক্ষিকা , সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী এটার সত্যতা ও বেরিয়ে আসে। এবং তার নামে নিউজ করলে সাংবাদিকদের নামে হামলা,জীবননাশের হুমকি সহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখান ওই শিক্ষিকা। শিক্ষিকা তার অপকর্ম ঢাকার জন্য মিথ্যা প্রতিবাদ জানিয়ে কিছু কথিত সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য উপজেলার কেষ্টপুর কে এন পি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আরজু খানম নামে এক সঙ্গে দুই পুরুষের সাথে সংসার করার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে,কেষ্টপুর কে এন পি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ সাথে চাকরি কালীন সময়ে পরকীয়া প্রেমের সৃষ্টি হয় একই স্কুলের শিক্ষিকা আরজু খানমের। জানা যায় যে,স্কুল শিক্ষিকা আরজু খানম লোহাগড়া পৌর এলাকার আদর্শ পাড়ার সেনা সদস্য মফিজুর রহমান (রাসেল) এর স্ত্রী এবং সেই ঘরে তার দুটি সন্তান রয়েছে। চাকরি সুবাদে মফিজুর রহমান বাইরে থাকে। শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ যশোর জেলার মনিরামপুর থানার হেলান্সী গ্ৰামের আনসার আলীর ছেলে।এবং সেও বিবাহিত তারও দুটি সন্তান রয়েছে। আব্দুল ওয়াদুদ ও আরজু খানমের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক। আব্দুল ওয়াদুদ ও আরজু খানমের মধ্যে পরকিয়া সম্পর্কের কথা লোকজনের মাঝে জানা জানি হলে তাদের ২ জনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তারই প্রেক্ষাপটে আব্দুল ওয়াদুদ এর স্ত্রী সাবিরা খাতুন জানতে পেরে ওই স্কুলের সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জানান। এবং তাদেরকে নিয়ে একটি শালিশ বৈঠক হয়। এরপর আব্দুল ওয়াদুদ সুকৌশলে কেএনপি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে চাকুরী ছেড়ে চলে যায় যশোর জেলার চৌগাছায়।সেখানে যেয়ে বাজে খান পুর মাদ্রাসায় ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। এবং তার স্ত্রী সাবিরা খাতুনের সাথে কথা বলা টাকা পয়সা দেওয়া বন্ধ করে দেন। এবং চাকরির সুবাদে যশোর চৌগাছা বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের বাড়িতে বাসা ভাড়া করে আরজু খানম কে নিয়ে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ৯ মাস বসবাস করেন। সেখান থেকে ও তাদের পরকিয়া সম্পর্কের কথা লোকজনের মধ্যে জানা জানি হলে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ওই ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ বাদে খানপুর মাদ্রাসা থেকে চাকরি ও বাসা ছেড়ে চলে যান শার্শা থানাধীন রহিমপুর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায়,ওখানে ও তিনি ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।এবং তাদের পরকীয়া প্রেম এখনো চলমান রয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে আব্দুল ওয়াদুদের স্ত্রী সাবিরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমি বাগেরহাট জেলার রামপাল ৫১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষিকা। আমার ছোট ছোট ২ টি সন্তান রয়েছেন, আমার স্বামী আগের মত আমাদের কোন খোঁজখবর নেয় না। টাকা পয়সাও দেয় না। ওই মহিলার মায়া জালে পড়ে। একজন মহিলা হয়ে আরেকজন মহিলার সংসার কিভাবে ধ্বংস করে। স্কুল শিক্ষিকা আরজু খানমের স্বামী একজন সেনা সদস্য, স্বামী থাকতে আমার স্বামী কে তার স্বামী পরিচয় দিয়ে যশোর চৌগাছায় ৯ মাস বাসা নিয়ে থেকেছেন কেন?সাংবাদিকেরা সরজমিনে যেয়েও এটার সত্যতা পাই। তিনি আরো বলেন, স্বামী কে ফিরে পেতে বিভিন্ন অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি এবং মানুষের দারে দারে ঘুরছি । আমি নিরুপায় হয়ে স্বামী ও আরজু খানমের বিরুদ্ধে কেএনপি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও তাতে কোন প্রকার ফলাফল না পেয়ে, স্বামীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করি। চরিত্র হীনা মহিলা আরজু খানম আমার স্বামী কে আমার কাছে থেকে কেড়ে নিয়ে অবৈধ মেলামেশা করে আমার সংসার ভেঙ্গেছে। আমি ওই মহিলার বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে আব্দুল ওয়াদুদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আরজু খানমের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে কি শিখবেন ছাত্রছাত্রীরা। এই যদি হয় তাদের কর্ম। তদন্তপূর্বক এদেরকে সঠিক বিচারের আওতায় আনা দরকার । না হলে সুশীল সমাজ ধ্বংসের মুখে চলে যাবে।
Leave a Reply