গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় কামিল শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরিক্ষায় একশ নম্বর পেতে দিতে হবে প্রতি শিক্ষার্থীদের পাঁচশত টাকা। টাকা না দিলে পরিক্ষার নম্বর কম পাবে বাধ্যহয়ে প্রতি শিক্ষার্থী পাঁচশত টাকা জমা দিয়ে মৌখিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রায় গিয়ে দেখাযায় সহকারী এক শিক্ষক তালিকা করে টাকা নিচ্ছেন আর মৌখিক পরিক্ষার জন্য অধ্যক্ষের রুমে পাঠাচ্ছেন। মৌখিক পরিক্ষায় ছাত্রদের নিকট থেকে কেন টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি জানিনা অধ্যক্ষের নিকট জিজ্ঞাসা করেন। আলিয়া কামিল মাদ্রাসাটি ১৯৩৯ সালে স্থাপিত হয়। দির্ঘবছর যাবত সুনামের শহিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পাঠদান করে আসছিল। বেশ কয়েক বছর পূবে এই প্রতিষ্টানটিকে একটি পরিক্ষা কেন্দ্র হিসাবে ঘোষনা করা হয়। এরপর থেকে আলিম, ফাজিল, কামিল পরীক্ষা এই মাদ্রাসা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। দূর্নিতির শুরুহয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মুহান্মদ মোখলেসুর রহমানের আমল থেকে তিনি ১লা মার্চ ২০১৯ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন। দির্ঘ পাঁচ বছর নানা অনিয়ম দূর্নিতির অভিযোগে বর্তমানে বরখাস্ত হয়েছেন। অধ্যক্ষ বরখাস্ত হওয়ায় নতুন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িক্ত পান মোঃ নুরুল আলম। যে দূর্নিতির অভিযোগে পূর্বের অধ্যক্ষ বরখাস্ত হয়েছেন সেই একই কাজ করছেন তিনি। প্রতি বছর ঐ মাদ্রাসায় যত শিক্ষার্থী পরিক্ষাদেন প্রত্যেকের কাছে থেকে পাঁচ শত টাকা নিতেন তারা। ফলে প্রতি বছর কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে কর্তারা। পরিক্ষার্থীদের নিকট হতে কেন বারতি টাকা নিচ্ছেন অধ্যক্ষের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,এবার মাত্র ৪৩জন ছাত্র পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেছেন খরচ তোলার জন্য তাদের কাছ থেকে পাঁচশত করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কি ধরনের খরচ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, পরীক্ষার সময় ইউএনও আসেন তাকে সন্মানি দিতে হয়,প্রশ্ন পত্র আনতে খরচ হয়, পরিক্ষার খাতা পাঠাতে খরচ হয় এগুলোতো আমাদের দেয় না তাই প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট হতে পাঁচশত টাকা নেওয়া হচ্ছে এটা সামান্য টাকা তারা নাদিলে আমরা কোথায় পাব। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ.কে.এম. হেদায়েতুল ইসলাম (সার্বিক) এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই। আমি বিষয়টি দেখছি। পরে তিনি ফোন করলে তাৎক্ষনিক টাকা গুলো ফেরত দিতে বলেন।
Leave a Reply