তন্ময় দেবনাথ রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
বর্তমান মেয়র মোঃ মুক্তার আলী ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা, লাইটসহ ড্রেন নির্মাণ, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী, বিধবা, মার্তৃত্বকালীন ভাতা প্রদানসহ করোনাকালিন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছেন এই পৌরসভায়। ২০১৬সালে আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন এবং২০২১ নির্বাচনে সতন্ত্র পার্থি হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন মেয়র মুক্তার আলী। আনুমানি প্রায় ২১ হাজার জনগণের বসবাসরত এই পৌরসভা। পৌরসভাটি ছিল একেবারেই অনুন্নত। মোঃ মুক্তার আলী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নির্মাণ করেছেন কাঁচা রাস্তা থেকে পাকা রাস্তা, এলইডি এর পরিবর্তে বসিয়েছেন সৌর বিদ্যুতের সংযোগ। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থার বালাই ছিলো না। ইতোমধ্যে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনসহ আরো প্রায় কোটি টাকার ঢালাই রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। দিয়েছেন বয়স্ক, প্রতিবন্ধি, বিধবাসহ মার্তৃত্বকালীন ভাতা। চলমান উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজ, এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো তিনি নিজেই তদারকি করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। এছাড়াও সরকারী সহায়তা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশে গত বছর প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর পরই ভয়কে জয় করে তিনি নিজেই জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য করেছেন মাইকিং, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুস্থ অসহায়দের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন ত্রাণ সামগ্রী। যা মানবিকতার অন্য নিদর্শন। “খ” শ্রেণীর এই পৌরসভাকে তিনি স্বপ্ন দেখেন প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার। সেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মেয়র মোঃ মুক্তার আলী । সরেজমিনে ঘুরে পৌর এলাকার নাম প্রকাসে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, বর্তমান মেয়র আমাদের যে ড্রেন ও রাস্তা করে দিচ্ছে তাতে আমাদের অনেক উপকার হবে। এই বর্ষা মৌসুমে একটু পানি হলে বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে থাকতো। মানুষের চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পরতো। ড্রেন ও রাস্তা হচ্ছে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। মেয়র মোঃ মুক্তার আলী বলেন, করোনাকালীন সময় আমরা খুবই দক্ষতার সাথে দিনগুলো পার করছি। আড়ানী পৌরসভাসহ পুরো উপজেলায় সর্বাধিক সর্তকতার সাথে এই সময়টি মোকাবেলা করছি। মানুষকে সচেতনতা সৃষ্টি, মাস্ক, ত্রাণ সামগ্রী ও সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ মানুষের মাঝে আমরা ত্রাণ পৌছিয়ে দিয়েছি। তার পাশাপাশি সরকারি, বেসরকারিসহ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং এলাকার বিশিষ্ট জনের সহায়তার চাল, ডাল, তেল, সাবান, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। তিনি বলেন, শীতকালীন সময়ে আমরা শীর্তাতদের মাঝে কম্বলসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে আসছি। মাদক নির্মূল ও বেকারত্বের হার কমাতে তার অবদান কতটুকু? প্রশ্নের জবাবে মেয়র মুক্তার আলী বলেন, আমার এলাকায় মাদকসেবীদের হার শতকরা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। মাদক নির্মূল কার্যক্রম এখনও অব্যাহত আছে। এছাড়াও বেকারত্বের হার কমানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি সর্বক্ষণ। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসছি তাদের।
Leave a Reply