লিপি খাতুন,কেশবপুর: কেশবপুরে ভান্ডারখোলা-মহাদেবপুর সড়কের গ্রামীণ কাঁচা রাস্তায় কাঁদার কারণে ৪ গ্রামের হাজারও মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। দুই কিলোমিটারের অধিক এ রাস্তায় বর্ষা মৌসুমে চলাচলে ভোগান্তি তীব্র আকার ধারণ করে। এক পশলা বৃষ্টি হলেই রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে পায়ে হেঁটে চলাচলও অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তাটি দীর্ঘ বছরেও পাকা না হওয়ায় ওই সড়কের ভান্ডারখোলা, খোপদহি, মোমিনপুর ও মহাদেবপুর গ্রামের মানুষের ভেতর তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কয়েক দফা মেপে গেলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ও হাসানপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী ভান্ডারখোলা থেকে মহাদেবপুর পর্যন্ত দুই কিলোমিটারের অধিক এ রাস্তাটি ৪ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। ভ্যান, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক যানবাহন ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। বর্ষা মৌসুমে এ সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় মোমিনপুর আর কে এম দাখিল মাদ্রাসা ও মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি দেখা দেয়। যানবাহন চলা দূরের কথা, তখন পায়ে হেঁটেও চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অসুস্থ কোন ব্যক্তিকে ডাক্তারের কাছে নিতে গেলেও পড়তে হয় বিপাকে। ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, সড়কে কাঁদার কারণে মানুষের চলাচল করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য কয়েক দফা মেপে গেলেও সেটার কোন বাস্তবায়ন হয়নি। হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়টি এমপি মহোদয়কে (সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার) জানালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ওই রাস্তাটি পাকাকরণের বিষয়ে অনুমোদন পেয়েছি। খুব শীঘ্রই সড়কটির কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি’। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সায়ফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘ওই সড়কের ২ কিলো ৩০০ মিটার রাস্তাটি কাঁচা রয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে নতুন প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটি কার্পেটিং করা
Leave a Reply