
। রিজওয়ান নওগাঁ। আম ও ‘ধান-চালের জন্য বিখ্যাত জেলা’ হিসেবে পরিচিত ও খেতাব প্রাপ্ত নওগাঁ থেকে কৃষি কাজের এবং চাষাবাদে র কৃষির বৈশিষ্ট্য হারাতে বসেছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কৃষকদের ফসলি জমি জোরপূর্বক ইজারা নিয়ে সেখানে পুকুর খনন করছেন, যা জেলার খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে গত এক দশকে জেলার প্রায় ৪ শতাংশ তিন ফসলি আবাদি জমি এভাবে পুকুর খনন করে গিলে ফেলছে পুকুরে। কৃষকভাইদের আক্ষেপ ভরা অভিযোগ, ধনী রাঘব বোয়ালরা তাদের জমির চারপাশে পুকুর / দীঘি খনন করে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ফসল নষ্ট হওয়ায়ঐ রাঘব বোয়ালরা ফসল নষ্ট হওয়া ঐ জমিগুলো নামমাত্র মূল্যে ইজারা নিয়ে এই অবৈধ পুকুর/ দীঘি খনন করছেন। আবাদি ভাইয়েরা ও ইজারা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে একসময়ের কৃষক এখন খেটে খাওয়া দিনমজুরে পরিনত হচ্ছেন।এই কারনে তীব্র আক্ষেপ ভরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এক কৃষক বলেন, “খালি মাছ খ্যায়ে কি আমাগের প্যাট ভরবে?”– উত্তর দেয়ার আজ কেউ নেই। অহেতুক এই আগ্রাসনে শুধু কৃষককূলই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না , পরিবেশেরও ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির লেবেল নিচে নেমে যাচ্ছে এবং মাছের চিকিৎসায় ব্যবহৃত লবণের ফলে পানিতে লবণাক্ততাও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় কৃষিভাইদের আকুল আবেদন, এই সমস্ত কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এবং প্রশাসনের দুর্বলতার কারনেই এই ‘উন্নয়নের নামে সর্বনাশা ধ্বংসাত্মক ক্রিয়াকর্মাদি’ চলছে। আবাদি বা ফসলি জমিতে পুকুর/ দীঘি খনন ঠেকানোর কোন বিধিমালা না থাকার হেতুতে এই ধ্বংসাত্মক ক্রিয়া- কর্ম বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।
Leave a Reply