গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মডার্ণ ক্লিনিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে ভুল পরামর্শ ও অপারেশনের যন্ত্রণা পিঠে বয়ে বেড়াচ্ছে শিশু শিহাব (৬)। ছোট্ট ফোঁড়া (ফুটনি) কে টিউমার ব্যাখ্যা দিয়ে এ অপারেশনের পর পিঠজুড়ে বিস্তৃত ঘা’র অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর শিহাবকে সুস্থ্য করতে পরিবারটি আজ নিঃস্ব। ছেলের মরণ যন্ত্রণায় দিশেহারা পিতা আল আমিন গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান। প্রকাশ, উপজেলার রাজাহার ইউপির দো-ঘরিয়া গ্রামের আল-আমিন ও শিরিনা বেগমের শিশু পুত্র শিহাব। চলতি বছরের এপ্রিল শিহাবের পিঠে একটি ছোট্ট ফোঁড়ার (ফুসকরি) চিকিৎসা নিতে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন মা শিরিনা। গত ২ মে মহাসড়ক থেকে হাসপাতাল রোড দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে মডার্ণ ক্লিনিকের সামনে পৌঁছালে ওই ক্লিনিকের নূর আলম তাদের ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে নিজেকে ডাক্তার পরিচয়ে শিহাবের পিঠে ফোঁড়া উঠেছে। অপারেশন না করলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা দেখিয়ে পরে ৮ হাজার টাকায় চুক্তিতে অপারেশনে পিঠে গভীর গর্তের সৃষ্টি করে। সপ্তাহ পড়ে সেলাই কাটতে এসে সেখান থেকে অনবরত রক্ত ঝড়লে তাদের পরামর্শে শিহাবকে ১৩ মে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে মাসাধিককাল চিকিৎসায় শিহাবের উন্নতি না হওয়ায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ছুটে নিঃস্ব হয় পরিবারটি। চিকিৎসার টাকা জোগাতে অন্যের সহযোগিতার আশায় মা-ছেলে পথে নামতে বাধ্য হলে রবিবার (২০ আগস্ট’২০২৩) তাদের দেখা যায় গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের এনসিডিপি মার্কেটে। সেখানে আমাদের কথা হলে শিহাবের পিঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ছবির দৃশটি মোবাইলে ধারণ করা হয়। এসময় শিশু শিহাব ও তার মা’র মুখে করুণ বর্ণনা জানা যায় ও মডার্ণ ক্লিনিক সহ বিভিন্ন অভিজ্ঞ ডাক্তারদের চিকিৎসাপত্র দেখান। মা শিরিনার দাবি দুই লাখ টাকার ব্যবস্থা হলে তার সন্তানের প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে বাঁচানো সম্ভব। তিনি জানান, মডার্ণ ক্লিনিকে যোগাযোগ করলেও তাদের কোনা সাড়া পাইনি। সেই সাথে ভুল চিকিৎসার জন্য ওই ক্লিনিকে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অপারেশনকারী নূর আলমকে আসামি করে লিখিত এজাহার দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। ০১৭৮৬ ৭৭৭ ৫২৩
Leave a Reply