1. admin@agamirdorpon.com : admin :
  2. agamirdarpon@gmail.com : News admin :
ইতিহাসের নির্মম সাক্ষী খালিশপুরের নীলকুঠি।
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ কর্মী নিয়োগ চলছে
দৈনিক আগামীর দর্পণে,দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুরুষ মহিলা সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান, agamirdarpon@gmail.com, ০১৯১৭-৬৬৫৪৫০
শিরোনাম :
অতর্কিত হামলায় দোয়াত কলমের ৩ কর্মী আহত, এলাকায় উত্তেজনা! ফুবাড়ীতে আমনধান সংগ্রহে কৃষক নির্বাচন লটারী অনুষ্ঠিত সন্তান লালন পালনে মায়ের ভূমিকা -এমপি সালাহ উদ্দিন মিয়াজী নওগাঁ’র রানীনগরে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে চতুরর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাঃ মহেশপুরে তিনদিন যাবৎ অবরুদ্ধ অসহায় আবুসিদ্দিকের পরিবার সরকারি ভূমি হতে শতবর্ষী গর্জন গাছ কেটে চুরি; ক্ষতিতে বন ও পরিবেশ আংশিক খন্ডাংশ উদ্ধার; কোটচাঁদপুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক’কে হত্যা সহ গুম করে দেওয়ার হুমকি. সস্তান লালন পালনে মায়ের ভূমিকা মূখ্য -এমপি সালাহ উদ্দিন মিয়াজী  বাউফল উপজেলা নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে এগিয়ে খ,ম মশিউর রহমান লাবলু বিশ্বাস নকলায় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ

ইতিহাসের নির্মম সাক্ষী খালিশপুরের নীলকুঠি।

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪
  • ৬ Time View

মোস্তাফিজুর রহমান আপেল, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ ব্রিটিশ রাজত্বকালে ইংরেজরা এদেশে নীল চাষ করার জন্য যেসব কুঠি গড়ে তুলেছিলেন সেসব কুঠিবাড়িই নীলকুঠি নামে পরিচিত। নীলকুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। এ নদ দিয়েই নৌকায় করে আসতো ইংরেজরা। তারা ওই কুঠিতে থাকতো আর কৃষকদের ওপর অত্যাচার করতো। আঠারো শতকের শুরুর দিকে কোটচাঁদপুর দুতিয়ারকুঠি কুঠির মালিক ব্রিজবেন মহেশপুরের খালিশপুরে কপোতাক্ষ নদের তীরে এ কুঠিটি স্থাপন করেন। ১২ কক্ষবিশিষ্ট দ্বিতল ভবন এটি। নিচ তলা থেকে দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলো আয়তনে বড়।চুন, সুরকি ও পাকা ইট দিয়ে তৈরি এ ভবনটি।কুঠির নিচ তলায় ছিল নীল চাষের খাজনা আদায় ও নির্যাতন কক্ষ। দ্বিতীয় তলায় আদায়কারীরা রাতযাপন করতেন।বিশ্রাম ও গোসল করার জন্য নির্মিত পাকা সিঁড়ি কপোতাক্ষের তীর পর্যন্ত নামানো। এখানে ১৮১০- ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত নীলকররা নীল চাষ পরিচালনা করত।এলাকার কৃষকের মাধ্যমে নীল চাষ করে পাঠানো হতো । ইংল্যান্ডসহ পৃথিবীরবিভিন্ন দেশে। দিনের পর দিন অত্যাচারে মাত্রা বাড়াতে থাকে ইংরেজ নীলকরদের।যারা নীলচাষ করতেন না তাদের এ কুঠিতে এনে করা হতো নির্যাতন।কুঠির সামনে থাকা গাছে বেঁধে চলত অমানুষিক নির্যাতন।গ্রাম থেকে নারীদের ধরে এনে রাখা হতো কুঠির কক্ষগুলোয়।উপমহাদেশে নীল বিদ্রোহের সূচনা হওয়ার পর অন্যান্য নীলকুঠির মতো এ নীলকুঠিটিও রেখে চলে যান নীলকররা। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন। ১৪ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এটি একটি দ্বিতল ভবন। ১৮১০-১৮৫৮ সাল পযর্ন্ত এটি ছিল কৃষক নির্যাতন কেন্দ্র। ১৮৬৫ সালে নীল বিদ্রোহ সংগঠিত হলে অন্যান্য নীলকুঠির মত এ নীলকুঠিটিও ইংরেজরা রেখে চলে যান। পরবর্তীতে জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় তৎকালীন নীলকুঠির মালিক জমিদার জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে এটি মূলত পরিত্যক্ত। এই সব ইতিহাসের সাক্ষী পরিত্যক্ত ঐতিহাসিক ভবন গুলি সংস্কার করে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করতে সরকারের প্রতি দাবী মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরবাসীর।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 agamirdorpon.com
Design & Developed By BD IT HOST