লিপি খাতুন,কেশবপুর (যশোর): কেশবপুরে উপজেলার ৫ নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া গ্রামের কোমলমতি শিশুরা নদীতে পড়ার ভয় নিয়ে বিপজ্জনক বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল যাওয়া আসা করে। বাঁশে ঝুলে বুড়িভদ্রা নদী পার হওয়ার দুঃসাহসিকতা আর দুর্ভোগের যেন কোনো শেষ নেই। শিক্ষার্থীরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাতায়াতকালে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে এলাকারবাসীর নিকট থেকে জানা গেছে। মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাঁচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাঁচারই টি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০/৬০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাঁশে ঝুলে নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে প্রত্যেককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীটি পার হতে হয়। শিক্ষার্থীরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাতায়াতকালে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিভাবক ও গ্রামবাসীর প্রাণের দাবী ব্রীজটি অচিরেই একটি কংক্রিটের ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়ে যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিষয়টি নিয়ে পাঁচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ মিন্টু’র সাথে কথা বললে এ প্রতিনিধি কে বলেন, প্রতিদিন বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ওই ভাঙা সাঁকো দিয়ে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করছে। এখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হলে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ এলাকার গ্রামের লোকজনের ভোগান্তির অবসান হবে। এব্যাপারে ৫নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাসের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধি কে জানান,বসুন্তিয়া গ্রামের কোমলমতি শিশুরা বুড়িভদ্রা নদীর উপর দিয়ে যে ভাঙ্গা বাশেঁর সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে সে বিষয়টি বিবেচোনা করে খুব দ্রুতই সেখানে নতুন ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।
Leave a Reply