মামুনার রশীদ সুমন কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলায় আমেরিকায় বসবাসকারী জনগণের পক্ষ থেকে তৈরী সড়কের পাশে বহরমপুর গ্রামের মাঠে দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে আজব এই খেজুর গাছটি। একটি-দুটি নয় যার আছে ২৪ টি মাথা বিশিষ্ট। মাটিতে একটি মাত্র গাছ দাড়িয়ে থাকলেও উচু করে দাড়িয়ে আছে একাধিক মাথা। খেজুর গাছের প্রত্যেকটি মাথাই আলাদা আলাদা সতেজ পাতায় এখনও বিদ্যমান। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষই গাছটিকে একনজর দেখতে ভিড় করে।গাছটির আনুমানিক বয়স প্রায় ৩০ বছর। এমন আজব গাছটির মালিক ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের মৃতঃ আবু তালেব মুন্সীর ছেলে ডাক্তার সলেমান মুন্সী। সরোজমিনে উপজেলার বহরমপুর গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের একপাশে মেহগনি ও আম বাগানের এক কোনে খাড়া হয়ে দাড়িয়ে আছে ২৪ মাথা ওয়ালা খেজুর গাছটি। দেখে মনে হয় কোন শিল্পী নিপুন হাতে গাছের মাথা গুলো সাজিয়ে রেখেছে। অবাক করার বিষয় গাছটির মূলের চেয়েও ২৪গুন মাথা নিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে আছে। একসময় রস আহরোন করা হলেও এখন তা আর করা হয় না। তবে এই বাগানে অন্যান্য গাছ থাকলেও মালিক ব্যতিক্রমী এই গাছটি এখনও কাটেননি। প্রকৃতির এক বিচিত্র সৃষ্টি এই খেজুর গাছটির এখনও জীবিত আছে ১১টি মাথা। বাকি ১৩টি মাথা মরে শুকিয়ে গেলেও তার গুড়িগুলো দন্ডায়মান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এ গাছটিকে একনজর দেখার জন্য দুর দুরান্ত থেকে আসছে দর্শণার্থীরা। বহরমপুর গ্রামের মাঠে খেজুর গাছে ভাড়/কলস পাতছিলেন গাছি আঃ ওহাব তার কাছে এ বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি জানান, এক সময় এই গাছ হতে রস আহরন হতো যখন অধিক মাথা জন্মানো শুরু হয় তখন থেকে রস আহরন বন্ধ হয়। পরে গাছটির অনেকগুলি মাথা হলে জঙ্গলে পরিনত হওয়ায় অতিরিক্ত সাপ বসবাস করতো যার ফলে গাছ থেকে আর রস সংগ্রহ করতে পারেনা। আবার সাপের কারনে খেজুর গাছে ফল ধরলেও সেগুলো পাড়া যেতো না। গাছেই ফলপেকে নষ্ট হয়ে যেত। এভাবেই প্রথমে একটা দুইটা করে মাথা হতে থাকে। এসময় এতো মাথা হয় যে গুনতে পারা যেত না। এরপর কিছু মাথা মারা যায় এখন ১১টি মাথা জীবিত আছে। তবে এই গাছটি দেখতে অনেক দূর থেকে লোকজন আসে এবং আল্লাহর সৃষ্টির সুন্দর্য্য উপভোগ করে। গ্রামের কৃষক মিন্টু মিয়া জানান, এই গাছটি অনেক দিন আগেই এমন হয়েছে। প্রথমে তিনটি মাথা হয়। তারপর আস্তে আস্তে অনেক মাথা হয়েছে। একসময় ওই মাথা গুলো থেকে রস আহরণের চেষ্টাও করা হয়েছে,কিন্তু কেউই পারেনি।
বেড়াতে আসা দর্শণার্থী তরিকুল জানান, এমন ঘটনা একেবারেই বিরল তাই দেখার জন্য এসেছি। আল্লাহর এক ব্যতিক্রমী নিদর্শন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছটিকে একনজর দেখতে মানুষ আসছে। প্রকৃতির এক অসাধারণ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে এই গাছটি।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, এটি একটি জেনিটিক সমস্যা। হরমোন জনিত কারণে এক বীজপত্রি উদ্ভিদে একাধিক শাখা প্রশাখা হতে পারে। তবে সেটা হয় খুবই কম।
Leave a Reply