শহিদুল ইসলাম খোকন গাইবান্ধা প্রতিনিধি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নিকট শিমুলতাই গ্রামের মৃত্যু আব্দুর জোব্বারের পুত্র শিক্ষক আজহার আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পুরাতন বিএস কোয়াটার দখল ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও ক্ষতিসাধনের অভিযোগে সাঘাটা থানায় একটি মামলা করেছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আজহার আলী ও তার পরিবার। আজহার আলী ও এলাকাবাসী এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন মৌজা শিমুলতাইড় , জেএল নং ১৭, সাবেক দাগ নং ৩০৮ হালদাগ নং ৯৭৩ ৯৭৪,৯৭৫ জমির পরিমাণ ২২ শতকের মধ্যে ১২ শতক। একই গ্রামের নুরনবী সরকারের পুত্র সাহাদত হোসেন ও শহিদুল ইসলাম সিএস খতিয়ান নং ১৮ এর মালিক এর ওয়ারিশের ধারাবাহিক হস্তান্তরের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রি দলিল মূলে জমি ক্রয় করেন । উল্লেখ্য যে ২২ শতাংশে জমির মধ্যে জৈনক জাহিদুল ইসলামের নিকট সাড়ে সাত শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি দলিল মতে শহিদুল ইসলাম ও শাহাদৎ হোসেন বিক্রি করেন। জাহিদুল ইসলামখারিজ খতিয়ান খুলে নেন। খারিজ খতিয়ান দখল এবং কবলার দলিল মুলে জাহিদুল ইসলাম শিমুলতাইড় গ্রামের শিক্ষক আজাহার আলী ও তার সহধর্মিনী হাসনা হেনার নিকট সাড়ে সাত শতাংশ জমি বিক্রি করেন। দলিল ও খারিজখতিয়ান মতে শিমুলতাইড় গ্রামের শিক্ষক আজহার আলী ও তার স্ত্রী হাসনাহেনা সাবেক দাগ নং ৩০৮ এর ২২ শতাংশ জমির মধ্যে ক্রয়কৃত সাড়ে সাত শতাংশ জমি হোল্ডিং নং ১২৫৬ খারিজ করেনেন। সেমতে ভোগদখল ও শান্তিপূর্ণ বসবাসের এক পর্যায়ে পূর্বের মালিক শাহাদৎ হোসেন পুনরায় সাড়ে চার শতাংশ জমি শিক্ষক আজাহার আলীর নিকট রেজিস্ট্রি দলিল মতে বিক্রি করে দেন । কুরাইকৃত জমি তাদের নিরঙ্কুশ দখলে রয়েছে বলে এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আজহার আলী ও তার পরিবার। তিনি আরো জানান উপজেলা কৃষি অফিসার সাঘাটার নির্দেশে অন্যায় ভাবে তাদেরকে আসামী করে সাঘাটা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন এবং তাদের এক বছরের সাজা হয়েছিল।। কিন্তু গাইবান্ধার বিজ্ঞ জজ আদালতে মামলা আপিল করে তারা (আজাহার আলী ও তার পরিবার) নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। আজাহার আলী ও এলাকাবাসী আরো জানান পুনরায় সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাদেকুজ্জামান প্রভাবিত হয়ে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান কে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট হয়রানি মূলক ও যোগসাজসি মামলা দায়ের করেছেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে ভুক্তভোগীদের দাবী।। এলাকাবাসীর জোরালো দাবী ভুক্তভোগী আজহার আলী যদি কৃষি কর্মকর্তার জমি ও কার্যালয়ে জোরপূর্বক দখল করে থাকেন,তাহলে কৃষি কর্মকর্তাদের নামে মাঠ পর্চা ও কোন প্রকার দালিলিক প্রমাণ ডকুমেন্ট আছে কি? তারা আরো বলেন বারবার মামলায় হারার পর ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলা করছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান জামান, তাদের নামে কোন খারিজ খতিয়ান বা মাঠ পর্চা নাই। তবে তাদের একটা পুরাতন বিএস কোয়াটার সেখানে ছিল। বর্তমানে সাবেক ৩০৮ দাগের মধ্যে আজাহার আলী প্রধান ও তার স্ত্রী হাসনাহেনা নামে খতিয়ান নং ১৬৯০ জমির পরিমাণ সাড়ে সাত শতাংশ এবং খতিয়ান নং ১৩৮৫ জমির পরিমাণ সাড়ে চার শতাংশ শুদ্ধ সঠিকভাবে রেকর্ড প্রস্তুত হয়েছে এবং প্রচারিত হয়েছে মর্মে এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার বিকেলে সাংবাদিকগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শত শত জনগণ এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা তথা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজহার আলীর বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে তারা জানতে পেরেছেন আজহার আলী ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে সাঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান। এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামানকে বারবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নাই। সাঘাটা থানার সাব-ইন্সপেক্টর এবং জি আর নং ৯৯/২০২৩ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আলম বাদশা কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। আমাদের প্রতিনিধি আরও জানতে পেরেছেন সাঘাটা সহকারী জজ আদালতের মামলা নং অন্য ৩৯/৮৪ নং এর বাদী শহিদুল ইসলাম ও শাহাদৎ হোসেন এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাঘাটা ৩৭ নং বিবাদী ছিলেন । মামলার রায়ের ৩৭ নং বিবাদীর দাবি নামঞ্জুর হয়। সাঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন । যার আপিল নং ১৩৩/ ১৬ । এ আপিল মামলায় বাদী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সাঘাটা কোন প্রকার ফল বল না পাওয়ায় আজহার আলী ও তার পরিবারকে বারবার হেনস্ত করার জন্য মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তিনি (আজহার আলী) সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। নির্দোষ মানুষ মুক্তি পাক এটাই সকলের প্রত্যাশা। সচেতন এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার দাবি জানিয়েছে।
Leave a Reply