বদরুল আমীন, ময়মনসিংহঃ বাংলাদেশ পুলিশের পিআইও’তে জামালপুরে কর্মরত এএস আই শামসুল আলম গত ৫ মে মাদারগঞ্জ থানার তার নিজ এলাকার প্রতিবেশী অসুস্থ বৃদ্ধ আবুল খায়েরের বাড়িতে হামলা করে তার বাড়িতে সংযোগ পল্লী বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়ে হার্টে রিং পড়ানো আবুল খায়েরকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন খবরে মাদার গঞ্জ থানার এসআই তপন ঘটনাস্থলে গিয়ে শামছুল আলমকে বুঝিয়ে গ্রাম থেকে তার কর্মস্থল জামালপুরে পাঠিয়ে দেন। ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, শামসুল আলম পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত থাকলেও সে ছুটি ছাড়া বিভিন্নসময়ে তার নিজ বাড়িতে আসাযাওয়া করেন। নিজ জেলায় পোস্টিং হওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নমামলার তদবির করে থাকেন। তিনি নিজ উপজেলা এলাকায় পুলিশী প্রভাব বিস্তার করার বহু অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ মে তার নিজ বাড়ীতে অবস্থান করে তার পিতা আবুল কালাম শেখকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১১.৪৫ ঘটিকায় শত্রুতাবসত ইচ্ছাকৃতভাবে একই সাকিনে বৃদ্ধ শেখ আবুল খায়ের (অবঃ পুলিশ ইন্সপেক্টর ) পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ লাইন কেটে দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলে ভিকটিম শেখ আবুল খায়েরকে এএসআই শামসুল আলম ও তার পিতা- আবুল কালাম শেখ লাঠি দিয়ে বারি মারে। এলাকা বাসী ফিরাইলে লাঠির আঘাত ভিকটিমের শরীরের পাশ দিয়ে যায়। উল্লেখ্য ভিকটিম আবুল খায়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর এবং সে হার্টের রুগী ও হার্টে দুটি রিং পড়ানো এমনকি কিছুদিন আগে সে এক্সিডেন্ট করে চলাফেরা করা তার জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। এলাকাবাসী জানায়, ইতিপূর্বে এএসআই শামসুল আলম ও তার পিতা মাতা প্রায় সময়ে ভিকটিমক ও তার পরিবারকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসলেও ভিকটিম লোকলজ্জার ভয়ে কাওকে কিছু বলে নাই। এএসআই শামসুল আলম পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত থাকার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময় জামালপুর ও শেরপুর জেলায় মামলা ও অভিযোগের তদবীর করে অর্থনৈতিক ভাবে অসদ উপায়ে লাভবান হয়ে জামালপুরে নিজস্ব জায়গায় বাসাবাড়ী করে আঙ্গুর ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। কিছুদিন আগে তার গর্ভবতী পুত্রবধুকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে এএসআই শামছুল আলম ও তার পিতার ভয়ে ভিকটিম আবুল খায়ের ও তার পরিবার মানবেতর জীবন যাপনসহ জীবন নাশের হুমকির মুখে দিনানিপাত করছে বলে আবুল খায়েরের পরিবার সুত্রে দাবী করা হয়েছে। এএসআই শামসুল আলম দাম্ভিকতার কারণে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পিআইও শাখায় কর্মরত থাকায় বিভিন্ন থানার পুলিশ তার বিভিন্ন তদবির মেনে চলতে হয় বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে। গত ০৫ মে রোজাদার ভিকটিম আবুল খায়েরকে এএসআই শামসুল আলম ও তার পিতা আবুল কালাম শারিরীক ও মানসিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনায় ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়েন ও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এসকল ব্যপারে শামসুল আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নানা ধরনের কথা বললেও ঘটনার ব্যপারে কিছু বলতে নারাজ। ছুটি নেয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি ছুটি নিয়েছেন বলে দাবী করেন। অবাক করা বিষয় হলো ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি কথা বলতে নারাজ।
Leave a Reply