স্টাফ রিপোর্টার ঃ ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের কার্যালয়ে উইমেন সার্পোট সেন্টার ( নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্র) সেবার নামে জনহয়রানীর যেন সীমানেই। কেন্দ্রটি যেন সেবার নামে হিতে-বিপরিতে রূপ নিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে , এখানেও চলে টাকার খেলা। আপোষ মিমাংসার নামে উভয় পক্ষকে ডেকে নেয়া হলেও অভিভাবকের সামনেই পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজা মৌলদার আচারন যেন নগ্নতাকে হার মানায়। জেলা পুলিশ সুপর ছুটি যাবার পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিন তাকে অফিসেই পাওয়া যায়নি। গত ৫ জুলাই উইমেন সার্পোট সেন্টার ( নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্র) পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজি মৌলদার সাথে কথা বলতে গেলে ২ ঘন্টার অধিক সময় অপেক্ষা করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায় পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদা মৌলদা সিসিক্যামেরার কন্টোল রুম ( মিডিয়া সেল) এর দায়িত্বেও আছেন। সেখানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। সেখানে এস আই ফারুক জানালেন, তিনি দুপুরে খাইতে গেছে। দুপুর অবদী সন্ধা তবুও তার দেখা মেলেনি। তিনি ছুটি গিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব কেহ দিতে পারেনি। জেলা পুলিশ সুপার অফিসে নেই অর্থাৎ তিনিও নেই! পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজা মৌলদার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেস্টা করলেও পাওয়া যায়নি। পরদিন ৬ জুলাই পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দর্শনার্থী নং ৫৪৪ এন্ট্রিকরে আবার উইমেন সার্পোট সেন্টার ( নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্র) এ যাই। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিনও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ডিএসবি অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাল্গুনী নন্দীর সাথে যোগাযোগ করি। তিনি তাৎক্ষনিক পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজা মৌলদাকে ফোন করেন এবং বলেন আপনি অফিসে আসেননি কেন? ছুটি নিয়ে ছিলেন? অপর প্রান্তের কথাগুলো আমি শুনতে পারিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আন্তরিকতার স্বরে বলেছেন “ আপনার জন্য একজন সাংবাদিক দুদিন ধরে ঘুড়ছে”। অপর প্রান্তের কথা আমা কর্ণগোচর হয়নি। উইমেন সার্পোট সেন্টার ( নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্র) এর একটি সুত্র জানিয়েছে, গত ২ মাসে ২৪ টি আবেদন পড়েছে। তার মধ্যে যৌতুকের ১৭ টি ও পারিবারিক ৭ টি। এর মধ্যে ১২ টি নিস্পত্তি হয়েছে। এতে রয়েছে যৌতুকের ৮ ও পারিবারিক ৪। নিস্পত্তি হওয়া একাধিক ঘটনায় ছেলে পক্ষ থেকে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। ফলে আপোষ মিমাংশা করা ঘটনায় বিশৃংখলা লেগেই আছে। এসকল পরিবারদের আবারো উইমেন সার্পোট সেন্টার ( নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্র) এ যেতে বললে তারা জানায় পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজা মৌলদার আচারন ভালোনা। খারাপ ভাষা ব্যবহার করে। এদের মধ্যে একজন নারী জানান, কিলগুতো খেয়ে যতদিন যায়। উইমেন সার্পোট সেন্টার ( নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্র) এ কর্মরত খাদিজা আক্তার জানান, আমরা চেস্টা করি ঘটনা আপোষ মিমাংশা করে দিতে। স্যার বিষয়গুলো দেখেন, তিনি প্রকাশ্যে গোপনে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে সমাধান দেন। গত দুদিন পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদা মৌলদাকে নাপাওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন। সেবা প্রার্থীদের অনেকে জানিয়েছেন, যে টুকু সেবা পেয়েছি তাতে ঘুড়তে ঘুড়তে জুতা ক্ষয় হয়ে গেছে। তাদের মতে এখানে ভালো ব্যবহারের অফিসার দরকার। ভালো ব্যবহারের অফিসার এখানে থাকলে মামলায় নাগিয়ে জনগন এখানেই পুলিশী সেবা নিবে।
Leave a Reply