আরিফুল ইসলাম শ্যামল: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁওয়ে বেহাল রাস্তায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কামারগাঁও ঘোষবাড়ির রোড থেকে সংযোগ সড়কটি ঋষিবাড়ি হয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউট, নাগরনন্দি খালপাড় দিয়ে ওই এলাকার নজরুল কন্ট্রাক্টরের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কোন উন্নয়ন হয়নি। খানাখন্দে ভরা শাখা রাস্তায় বৃষ্টিতে কাঁদামাটি জমে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে অত্র এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চলা ফেরায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় দুই যুগ আগে রাস্তা নির্মাণের পর আর উন্নয়ন কাজ হয়নি। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য রাস্তাটির সংস্কার কাজের দাবি করেছেন তারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, কামারগাঁও দেড় কিলোমিটার বেহাল কাঁচা রাস্তার মধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কিছু অংশ ইট সলিং হলেও চিত্ত মন্ডলের বাড়ি থেকে পুরোটাই কাঁচা রাস্তা। সংস্কারের অভাবে রাস্তা খানাখন্দে ভরে গেছে। এছাড়া বৃষ্টির পানি জমে সড়ক জুড়ে কাঁদামাটি জমার ফলে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। দেখা যায়, শাখা সড়কটির এই বেহাল পরিস্থিতিতে শতশত পথচারী কাঁদামাটি উপেক্ষা করে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটেই পাড়ি জমাচ্ছেন। এ সময় লক্ষ্য করা যায়, কাঁদামাটিতে আটকে পড়া ট্রলি চালক উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না। এ সময় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে ট্রলিটি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। এই এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ইনস্টিটিউট, স্থানীয় হাটবাজারসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসা মানুষগুলো বেহাল সড়কে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। মো. উজ্জ্বল, বাদল, পিয়ার আলী, শারমিন বেগম, অপু মিয়া, খলিলসহ অনেকেই বলেন, প্রায় দুই যুগ ধরে রাস্তার সংস্কার কাজ হয়নি। বৃষ্টির কারণে বেহাল রাস্তা আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। কোন প্রকার অটোরিক্সা, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল কিংবা বাই-সাইকেলও সড়কে চলাচল করারমত পরিস্থিতি নেই। বাধ্য হয়েই অসুস্থ রোগী, বৃদ্ধ, শিশুদের এই রাস্তার কাঁদামাটি মেখে হেঁটে চলা ফেরা করতে হচ্ছে। রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাত জানান, রাস্তাটি স্থানীয় সংসদ সদস্যর প্রজেক্টে দেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব শিঘ্রই রাস্তার কাজ হবে।
Leave a Reply