1. admin@agamirdorpon.com : admin :
  2. agamirdarpon@gmail.com : News admin :
শেরপুরে নতুন আতঙ্কের নাম অটোরিকশা ছিনতাই
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ কর্মী নিয়োগ চলছে
দৈনিক আগামীর দর্পণে,দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুরুষ মহিলা সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান, agamirdarpon@gmail.com, ০১৯১৭-৬৬৫৪৫০
শিরোনাম :
মহেশপুর সীমান্তে স্বর্ণের বার সহ দুই জন আটক মহেশপুর ১২ নং আজমপুর ইউনিয়নে শান্তিপুর্ন ভাবে উপনির্বাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ঝিনাইদহে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত চাটখিলে বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের মাছ নিধন  চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর ভয়াবহ পরিস্থিতির শঙ্কা! মাধবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণ আওয়ামী লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত কৃষ্ণপুর গ্রামে পাঁচজন আহত  কোটচাঁদপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২০২৪ এর, মনোনয়ন ফরম বিক্রি ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন। চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ

শেরপুরে নতুন আতঙ্কের নাম অটোরিকশা ছিনতাই

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪
  • ১০০ Time View

একদিনের ব্যবধানে ২ অটো-চালকের মরদেহ উদ্ধার শেরপুর প্রতিনিধি :- শেরপুরের নকলা উপজেলায় নিখোঁজের দুদিন পর হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় আসাদুজ্জামান আসাদ (১৭) নামে এক অটোরিক্সাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহত ইজিবাইক চালক আসাদ দক্ষিণ নকলা এলাকার মো. ফজলুর করিমের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ১৩ মার্চ (বুধবার) দুপুরে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওইসব তথ্য জানান। আটককৃত অটোরিক্সা চোর চক্রের সদস্যরা হচ্ছে নকলা উপজেলার ডাংধরাকান্দা গ্রামের মো. মজিবর মিয়ার ছেলে মো. হামিদুল ইসলাম খোকন (২৪), পূর্ব গজারিয়া গ্রামের মো. আবু হানিফের ছেলে মো. নূর নবী (২১), ধনাকুশা গ্রামের মৃত আশকর আলীর ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম এমসি জাহিদ (২২) ও ইশিবপুর গ্রামের মো. চান মিয়ার ছেলে মো. মিনাল মিয়া (২৪)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার তিনানী বাজারস্থ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করাকালে এসআই মুকুল সরকার অটোরিক্সা চোর সন্দেহে একটি অটোরিক্সাসহ হামিদুল ইসলাম খোকন ও মো. নূর নবী নামে ২ জন ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদকালে একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দিলে সন্দেহ আরও ঘণীভূত হতে থাকে। অটোরিক্সা উদ্ধারের খবর পেয়ে নকলা থানার বাসিন্দা মো. ফজলুর করিম নালিতাবাড়ী থানায় গিয়ে জানান যে, তার ছেলে অটোরিক্সা চালক আসাদুজ্জামান আসাদ গত ১১ মার্চ অটোরিকক্সা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে ফজলুর রহমানকে পুলিশের উদ্ধারকৃত অটোরিক্সা ও একটি মোবাইল ফোন দেখানো হলে সেগুলো তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন। পরে আটককৃতদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে তারা দু’জনসহ জাহিদুল ইসলাম এমসি জাহিদ ও মিনাল মিয়া- এ ৪ জন মিলে আসাদুজ্জামান আসাদের অটোরিক্সা ছিনতাই ও ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম আসাদুজ্জামান আসাদের অটোরিক্সাটি ছিনতাইয়ের ১১ মার্চ রাত ৯টার দিকে নকলা পৌরসভার নালিতাবাড়ী মোড় এলাকা থেকে অটোরিক্সাটি ভাড়া নেয় ওই ৪ জন। পরে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে রাত পৌণে ১১টার দিকে নকলা-নালিতাবাড়ী সড়কের ধনাকুশা সেফাকুড়ি ব্রিজের ২০০ গজ পূর্ব দিকে নিয়ে অটোরিক্সা ছিনতাই করার চেষ্টা করে। ওইসময় আসাদ বাধা দিলে তাকে ৪ জন মিলে হত্যা করে তার লাশ লুকানোর জন্য জনৈক খোকা মিয়ার ভরাটকৃত জমিতে মাটি চাপা দেয়। পরে ছিনতাইকৃত অটোরিক্সাটি বিক্রির উদ্দেশ্যে তিনআনী হয়ে যাওয়ার পথে অটোরিক্সার চার্জ শেষ হয়ে গেলে নালিতাবাড়ী থানার বিশেষ টিমের কাছে আটক হয় দুজন। পরে তাদের তথ্যমতে ওই ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে নকলা থানা পুলিশ ভিকটিম আসাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ সুপার আরও জানান, ওই ঘটনায় নকলা থানায় ভিকটিম আসাদের বাবা মো. ফজলুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এবং আটককৃত আসামিদের বুধবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপরদিকে এ ঘটনার পরদিনই শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় মোশাররফ হোসেন (৪২) নামে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মোশাররফ হোসেন উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের পিঠাপুনি গ্রামের সাফায়েত উল্লাহর ছেলে। ১৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ঘাকপাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় তার লাশ পাওয়া গেলেও অটোরিক্সাটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মোশারফকে গামছা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে তার অটোরিক্সা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের স্বজনদের থেকে জানা যায়, মোশাররফ হোসেন বুধবার ইফতারের পর কাকরকান্দি এলাকার পিঠাপুনি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন। রাতে স্বজনরা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার কল দিয়ে বন্ধ পান। তখন থেকেই খুঁজাখুঁজি শুরু করে দেন স্বজনরা। পরদিন সকালে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ঘাকপাড়া এলাকায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা । পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ও সুরতহাল সংগ্রহ করেন। এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুঁইয়া জানান, নিহত মোশারফ হোসেনর লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। একইসাথে ওই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একদিনের ব্যবধানে পাশাপাশি উপজেলায় দুইটি অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে হত্যার ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে শেরপুরের নকলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা নিম্ন-আয়ের মানুষেরা। নকলা পৌর-শহরের নালিতাবাড়ী মোড়ে অবস্থিত অটো ষ্ট্যান্ডে অটোচালকদের সাথে কথা বললে এ আতঙ্কের কথা জানান তারা। অটো-চালকরা বলেন, নিত্য নতুন আয় রোজগার ও প্রতিদিনের সংসারের খরচ যোগাতে অনেকে জমানো টাকা ও বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা তুলে অটোরিকশা ক্রয় করেন। ব্যাটারিচালিত এই অটোরিকশার রোজগারের টাকা দিয়েই তাদের অনেকের সংসারের দৈনিক খরচ ও সাপ্তাহিক কিস্তির টাকার যোগান দিতে হয়। তারা আরও জানান, দিনের বেলায় অটোরিকশা চালিয়ে বর্তমান উর্ধ্বমুখী বাজার খরচ এবং এনজিও লোনের সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অনেকেই বাড়তি অর্থ ইনকাম করতে সন্ধ্যারাত থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে থাকেন। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে অসাধু অটো ছিনতাইকারী একটি চক্র। তারা কয়েকজন মিলে অটোভাড়া নিয়ে সুযোগ মতো জায়গায় নিয়ে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে আর এঘটনায় বাধা দিলেই অকালে প্রাণ হারাতে হচ্ছে অটো চালদের। নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর শেষ সম্বল অটো ছিনতাই ও হত্যা রোধে আইন শৃঙ্খলা জোড়দার ও জড়িত চক্রগুলোকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা। নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: মোশাররফ হোসাইন বলেন, নকলার অটো-ছিনতাই ও হত্যার ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় কিছু বিপথগামী তরুনরা এ চক্রের সক্রিয় সদস্য। বাহির থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই এটা এতটা হিংস্র ও জগন্য কাজে জড়িত। মূলত নেশার টাকার যোগান দিতেই তারা এই বিপথগামী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। সমাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা জোড়দার, নেশা গ্রহন এবং এর বানিজ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা, অসৎ সঙ্গ বর্জন ও নেশার পরিনতি সম্পর্কে তরুনদের ভিতর সচেতনতা সৃষ্টি, অনলাইন জুয়া বন্ধ এবং অবিভাবকের সচেতনতাই তরুনদের বিপদগামীতা ও এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা দমন করতে পারে বলে দাবী করেন সিনিয়র এই সাংবাদিক।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 agamirdorpon.com
Design & Developed By BD IT HOST