লিপি খাতুন,কেশবপুর(যশোর): কেশবপুরে মূলগ্রাম দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসায় দুই শিক্ষক কলেজে ভর্তি ইচ্ছুক শির্ক্ষাথীর ভর্তির তথ্য চুরি করে শির্ক্ষাথীকে তাদের মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের মোঃ শাহাদাৎ হোসেনের পুত্র আব্দুর রহমান চলতি বছর গোলাঘাটা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা হতে ৩.৯৪ গ্রেডে দাখিল পাশ করে। তার দাখিল পাশ করার পর থেকে মূলগ্রাম দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের নির্দেশ ক্রমে ঐ মাদ্রাসার প্রভাষক আব্দুল্লাহ ও তার সহোযোগী নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে তাদের মাদ্রাসায় ভর্তি করানোর জন্য ঐ ছাত্রের বাড়িতে বার বার যেতে থাকে। কিন্তু সে কলেজে ভর্তি হবে বলে তাদের জানায়। এক পর্যায়ে ঐ দুই শিক্ষক গত ২৩/০৮/২৩ তারিখ বেলা সাড়ে ১২ টায় শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে তার কাছে তার পরিক্ষার রেজাল্ট সিট নিতে চায়। কিন্তু শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান কলেজে ভর্তি হবে বলে তাদেরকে তার রেজাল্ট সিট দিতে চায়নি। সর্ব শেষ শিক্ষক আব্দুল্লাহ ও নজরুল ইসলাম বলেন,তোমার রেজাল্ট সিট দেওয়া লাগবে না আমাদের একটু দেখাও। তখন সে তার দাখিল পাশের রেজাল্ট সিটসহ কাগজ পত্র তাদেরকে দেখতে দেয়। এসময়ে তারা সু-কৌশলে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ঐ রেজাল্ট সিটের ছবি তুলে নিয়ে যায় এবং তাদের মাদ্রায় ভর্তি করে। এদিকে শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান যথারীতি কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য গত ১২/০৯/২৩ তারিখ কেশবপুর পৌর শহরের জামান কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ভর্তি ফরম পুরণ করতে গিয়ে জানতে পারে ঐ দুই শিক্ষক তাদের প্রিন্সিপালের নির্দেশ মোতাবেক তাদের প্রতিষ্ঠান মূলগ্রাম দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসায় তার অগচরে আলিম ১ম বর্ষে ভর্তি করিয়াছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক তার পিতা মোঃ শাহাদাৎ হোসেনকে জানালে তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মোঃ আলাউদ্দীন এর কাছে ভর্তির বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন কর্ণপাত না করে বিভিন্ন প্রকার টল বাহানা কোরতে থাকে। এবং তাদের বলতে থাকে আমরা ঐ-টা ঠিক করে দিব। এদিকে কলেজে ভর্তির তারিখ শেষ হয়ে যাওয়ায় তার কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। শির্ক্ষাথী আব্দুর রহমান কোন কুল কিনারা না পেয়ে ভর্তির আর মাত্র ২ দিন বাকি আছে মর্মে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে এবং ঐ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথা ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেন। এব্যাপারে মূলগ্রাম দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলারা আলা উদ্দীন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর তাদের মাদ্রাসায় ভর্তি বাতিলের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাবর্ডোর উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার রাতে ঢাকাতে যাচ্ছি বলে জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন এ প্রতিনিধি কে বলেন,তার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply