ম.ব.হোসাইন নাঈম, স্টাফ রিপোর্টারঃ নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় গত কয়েক মাসে অন্তত ৫ জন স্কুল ছাত্রী অপহরনের শিকার হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এইসব ঘটনার সাথে জড়িতরা বখাটে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত। প্রথমে এইসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রীদের উক্তাত্ত করে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে কৌশরে ছাত্রীদের হয়রানি ও অপহরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। এই সব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সেবন সহ বিক্রয়ের মতো অভিযোগ। এইসব কিশোর গ্যাংয়ের শক্তিশালি নেটওয়ার্ক উপজেলার মোহাম্মদপুর, বদলকোট,দশঘরিয়া, খিলপাড়া, নোয়াখলা সহ অন্যান্য ইউনিয়নে। পরকোট ইউনিয়ন এলাকায় চিহ্নত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ওয়াজেদ এর নেতৃত্বে বিভিন্ন অসামাজিক কাজের ঘটনা ঘটে। চাটখিল থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে ওয়াজেদ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে স্থানীয়ভাবে তাকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট কথিত এক নেতা। দশঘরিয়া এলাকায় বখাটে কিশোর গ্যাং তরুণদের নিয়ে একটি অপরাধী চক্র গড়ে তুলেছে ওয়াজেদ। যারা মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ, নারীর শ্লীলতাহানি, স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্রীদের ইভটিজিং এর মত ঘটনায় জড়িত। এসব চক্রের সদস্যদের বড় অংশ কিশোর গ্যাংক। এরা যেসব নেতাদের ছত্রছায়ায় অপরাধ করে বেড়ায়, সে সব নেতাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছর। তাদেরকে সিনিয়র বা বড় ভাই বলে ডাকে চক্রের সদস্যরা। এছাড়াও চাটখিলে রামগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীধরপাড়া-বাইসসিন্দুর রোড, চাটখিল-দল্টা সড়ক, রক্তমন্দার হাট-সপ্তগাও রোড, পাল্লা অঞ্চল, সোমপাড়া-দত্তপাড়া-পোদ্দার বাজার সড়ক, হাসনাবাদ-মোহাম্মদপুর রোড,চিতৌষি-হালিমাদীঘি পাড় সড়ক, কালিরহাট-জানতা, শ্রীপুর, নয়নপুর, হাসনাবাদ-বানসা রোড, আবিরপাড়া-নয়নপুর রোডের অন্য উপজেলা থেকে এইসব রোডে মাদকের চালান নিয়ে আসে। এছাড়াও চাটখিল উপজেলার বাশতলা, জনতা বাজার, রেজ্জাক পুর, সপ্তগাও, বানসা, ফাওড়া, হরিকৃষ্ণপুর, মোহাম্মদপুর গআছতলআ-জনতআ বাজার, বড়তলা বাজার, দেলিয়াই, হাটপুকুরিয়া, বিনয়তলা, নারায়নপুর, সাহাপুর, পাল্লা-নাথপাড়া-ধন্যপুর, নোয়াপাড়া, শোল্লা-বাবুপুর-জষোড়া, সোমপাড়া, বাজারের আশে পাশে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ইভটিজিং ও মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। এসব এলাকায় কিশোর গ্যাংক চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজের সামনে দাড়িয়ে থাকে এবং স্কুল পড়–য়া মেয়েদের ইভটিজিং করে। এদের অত্যাচারে চাটখিল এলাকা এবং আশে পাশের এলাকাগুলোতে মানুষ অতিষ্ঠ। এই গ্যাংয়ের হামলা ও ইভটিজিং এর শিকার অনেকেই থানায় একাধিক মামলা দায়ের হয়। গত ২ মাস পূর্বে ওয়াজেদ এর একটি মাদক চালান নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে যাওয়ার পথে দশঘরিয়া বাজার থেকে থানা পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। প্রায় ১ কিঃ মিঃ পর্যন্ত তাকে ধাওয়া করলেও তাকে ধরতে পারেনি। এই ঘটনার পর কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার মাদক ব্যবসায়ী ওয়াজেদ কিছুদিন গা ঢাঁকা দিয়ে ছিল। বর্তমানে তাদের সেল্টার দেওয়া সংশ্লিষ্ট নেতাদের ছত্রছায়ায় এলাকায় এসে তার পূর্বের কর্মকান্ড পুন:রায় পুরোদমে চালু করেছে। এলাকাবাসীর দাবি অনৈতিবিলম্বে বর্তমান ছাত্র ও যুবসমাজকে মাদক, ইভটিজিং থেকে বাঁচাতে হলে গডফাদার ওয়াজেদ সহ উপজেলার সকল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply