
। খলিলুর রহমান জুয়েল চৌগাছা থেকে/যশোরের চৌগাছার ভারত সীমান্ত ঘেসা গ্রাম কুলিয়া। এই গ্রামটির পাশ দিয়ে বয়ে চলা ছোট্ট একটি বাওড় থেকে একজন মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এই কঙ্কালটি কুলিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বলে দাবি করছেন তার ছেলে। থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৯ মাস আগে কুলিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৫)নিখোঁজ হয়। সে সময়ে আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে তার কোন সন্ধান পায় না। একপর্যায়ে তারা আব্দুর রাজ্জাকের ফিরে আসার বিষয়টি একেবারেই ছেড়ে দেন। তার পরিবার।বুধবার বিকেলে কুলিয়া গ্রামের জৈনক এক ব্যক্তি ওই বাওড়ে ঠেলা জালে মাছ ধরতে যান। এ সময় পটের নিচ থেকে মানুষের কঙ্কাল বের হয়ে আসে। তিনি বিষয়টি দেখে দ্রুত গ্রামবাসীকে খবর দেন স্থানেরা ছুটে যে কঙ্কালের সাথে থাকা জামাকাপড় দেখে এটি আব্দুর রাজ্জাকের কঙ্কাল বলে নিশ্চিত করেন। স্থানীয়রা দ্রুত থানা পুরুষকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাঝরাতে কঙ্কাল টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা আবুবক্কার সিদ্দিক মাসুদ রানা আরিফুল ইসলাম জানান আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন নিখোঁজ ছিল। পরিবার তার আশায় একেবারেই ছেড়ে দেই। আজ বিকেলে হঠাৎ করে একটি কঙ্কাল বাওড়ের পানিতে দেখতে পাই। এ সময় আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী শাহানারা খাতুন ছেলে সোহাগ হোসেন ওই কঙ্কালের শরীরে জড়ানো থাকা পোশাক দেখে নিশ্চিত হন এটি তাদের নিখোঁজ হওয়া আব্দুর রাজ্জাকের কঙ্কাল।নিখোঁজ হওয়া আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহাগ হোসেন জানান তার পিতা আজ থেকে সাড়ে নয় মাস আগে নিখোঁজ হয়। সে সময়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আজকে বাওড়ের পানিতে কঙ্কালের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং কঙ্কালের যে পোষাক ছিল সেটি তার পিতার বলে তিনি দাবি করেন। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন আব্দুর রাজ্জাক কৃষি কাজের পাশাপাশি ভারত থেকে বিভিন্ন মালামাল জন হিসেবে নিয়ে আসতেন। নিখোঁজ এর সময় সে ভারতে গিয়েছিল অনুরূপভাবে জন হিসেবে। এরপর আর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। ধারণা করা হচ্ছে কেউ হয়তো তাকে মেরে বাওড়ে ধাপের নিচেই লাস্ট রেখে দেই। একাধারে বৃষ্টির কারণে ওই ধাপ ধীরে ধীরে কুলিয়া গ্রামের পাশে এসে থামে। বুধবার বিকেলে ধাপের নিচেই কঙ্কাল দেখে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে যায় এবং তার পর্ণের যে পোশাক ছিল সেটি দেখে পরিবার নিশ্চিত হয় এটি আব্দুর রাজ্জাকের কঙ্কাল। চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনা স্থলে যাই এবং মাঝ রাতে কঙ্কাল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসছি। আজ বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য কঙ্কালটি যশোর আড়াইশোজা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply