1. admin@agamirdorpon.com : admin :
  2. agamirdarpon@gmail.com : News admin :
  3. razzakmaheshpur@gmail.com : razzakmaheshpur :
পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেই জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব-মেয়র সেলিম
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ কর্মী নিয়োগ চলছে
দৈনিক আগামীর দর্পণে,দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুরুষ মহিলা সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান, ০১৭৪৯-৫২৫৫৫০ agamirdarpon@gmail.com
শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতির বিরুদ্ধে ‘হয়রানিমূলক’ হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি গোবিন্দগঞ্জে সাংবাদিকদের সন্মানে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীতে বালুচরে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার জীবননগরে সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার জীবননগরে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিচরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিনামূল্যে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ জয়পুরহাটে আহজ-এর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা কোটচাঁদপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান বিএনপি’র। জয়পুরহাটের শ্রমিকদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ চিরিরবন্দরে প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন সাংবাদিকদের নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেই জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব-মেয়র সেলিম

  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ১১৬ Time View

মো ইফাজ খাঁ মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- গত তিন-চার দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হবিগঞ্জ পৌরসভা পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ন ড্রেনগুলো সচল রাখলেও পানি সড়ে যেতে সময় লাগছে। পানি দ্রুত নিস্কাশন হতে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে বৃষ্টির পানি এক ঘন্টায় সরে যাওয়ার কথা তা সরে যেতে দু’ঘন্টা সময় লাগছে। এ জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে বিভিন্ন মহল নানা মতামত ব্যক্ত করছেন। তবে ভবিষ্যতে পৌরসভার পানি নিস্কাশন যাতে সহজ হয় ও পৌরবাসীকে যাতে পানির কারনে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় তার রাস্তা খুঁজছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার জলাবদ্ধতা দুরীকরণে মেয়র আতাউর রহমান সেলিম তার মতামত তুলে ধরেন। মেয়র বলেন,‘ ১৪২ বছরের পুরোনো এই হবিগঞ্জ পৌরসভা। দীর্ঘদিনে অনেকটা অপরিকল্পিতভাবেই গড়ে উঠেছে প্রাচীন জনপদ এই হবিগঞ্জ শহর। বিগত দিনে অনেকেই এ শহরের উন্নয়নে বিভিন্নভাবে কাজ করে গেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি আজো এই শহরে একটি পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা শহরের জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ। একটি নির্দিষ্ট এলাকার পানি নিস্কাশনে যে পরিমাপের ড্রেন প্রয়োজন তা অনেক ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত। অনেক সময় দেখা যায় যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে সেই পানি নিস্কাশনের জন্য ধারন ক্ষমতা নেই ড্রেনের। ফলে পানি সরে যেতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশী সময় লাগে। হবিগঞ্জ পৌরসভায় ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে কিছু কিছু এলাকায় বড় ড্রেন নির্মাণ হলেও সেগুলো পরিপূর্নতা পায়নি।’ মেয়র বলেন, ‘হবিগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতার আরো একটি অন্যতম কারন হচ্ছে ড্রেনের জায়গা অবৈধভাবে সংকুচিত করে ফেলা। অনেক এলাকায় দেখা যায় ম্যাপে যে ড্রেনের প্রশস্ততা ছিল তা দুদিকে দখল হয়ে সরু হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন,‘শহর হতে পানি বের হয়ে যাওয়ার বেশ কিছু খাল রয়েছে হবিগঞ্জ শহরে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজনগর কবরস্থানের সামনে বাইপাস কার্লভার্ট, আনসার অফিসের উত্তরে বাইপাস কার্লভার্ট, পৌর বাস টার্মিনাল বাইপাস কার্লভার্ট, ২নং পুলের পশ্চিমে বাইপাস কার্লভাট এবং হরিপুরের পূর্ব দিকে খোয়াই প্রতিরক্ষা বাধ ঘেষে মাটিয়া দই বিল ও স্লুইচ গেইট হয়ে খোয়াই নদীতে। এতে করে দেখা যায় শহরের পশ্চিম দিকে রিচি ইউনিয়ন হয়ে শহরে পানি বেশী নিস্কাশিত হয়। পৌরসভার সীমানা পাড় হয়ে খালগুলো সচল না থাকার কারনে এবং অনেক স্থানে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পৌর এলাকার পানি নেমে যেতে সময় লেগে যায়। অন্যদিকে পুরাতন খোয়াই নদীর বেশীর ভাগ পানি নিস্কাশন হয় মাটিয়া দই বিল হয়ে। কিন্তু যখন বেশী বৃষ্টি হয় তখন খোয়াই নদীর পানির উচ্চতা থাকে বেশী। ফলে স্লুইচ গেট দিয়ে পানি নিস্কাশন সম্ভব হয় না। এতে করে পুরাতন খোয়াই নদীর তীরবর্তী যে সকল এলাকা রয়েছে সেগুলো বেশী বৃষ্টি হলে প্লাবিত হয়।’ মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন,‘পুরাতন খোয়াই নদী হচ্ছে শহরের অন্যতম পানির আধার’। এই জলাশয়টি পুরোপুরি দখলমুক্ত না হওয়া এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় না আসা শহরের জলাবদ্ধতার একটি অন্যতম কারন।’ তিনি বলেন, ‘শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান করতে গিয়ে আমাদের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মূখীন হতে হয়েছে। সেটি হচ্ছে ড্রেনে অবিরাম ময়লা-আবর্জনার ফেলার প্রবনতা। আমরা অনেকেই সুন্দর সুন্দর বক্তৃতা দেই। সচেতনার কথা বলি। কিন্তু নিজেরা চর্চা করি না। অনেকেই ভ্যান গাড়ীতে গৃহস্থালীর আবর্জনা দেন না। ডাস্টবিনেও ময়লা ফেলেন না। ড্রেনের মধ্যে আবর্জনা ফেলাটা একটা চর্চায় পরিনত হয়েছে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা একবার ড্রেন পরিস্কার করে গেলে পরপরই আবারো ড্রেন ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ন হয়ে যায়। এই আবর্জনা যেমন প্লাস্টিক বোতল, নারিকেলের খোসা, প্লাস্টিক প্যাকেট, পলিথিন, কর্কসীট, জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি বর্জ্য স্ল্যাবের নীচে, কার্লভার্টের নীচে ও খোলা ড্রেনে জমাট বেধে যায়। ফলে বৃষ্টি এলে পানি নিস্কাশন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়।’ মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন,‘অবৈধ দখলমুক্ত করে ড্রেন ও খালের জমি উদ্ধার, বাসাবাড়ী নির্মাণের সময় বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা, ড্রেনে আবর্জনা না ফেলা ইত্যাদি বিষয়ে জোর দিলেই জলাবদ্ধতা নিরসন করা অনেকটাই সম্ভব হবে। সর্বোপরি শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায়ই আমাদের পক্ষে জলাবদ্ধতামুক্ত শহর গড়া সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন,‘হবিগঞ্জ শহরকে একটি জলাবদ্ধতামুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তোলতে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির যিনি পৌরসভার উন্নয়নে ইতিমধ্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সুদ”ষ্টি ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি। সাথে সাথে পৌরসভার সকল স্তরের জনগনের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 agamirdorpon.com
Design & Developed By BD IT HOST